নিজস্ব সংবাদদাতা (শৈলকুপা) ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) চরম উদাসীনতার কারণে কৃষকদের জীবন-জীবিকা এখন হুমকির মুখে। চলমান আমন মৌসুমে সেচের জন্য অপরিহার্য পানি সরবরাহ খালে আগাছা আর আবর্জনার স্তূপ জমে থাকলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। এর ফলে ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক নিজেরাই কাস্তে-কোদাল হাতে নেমে পড়েছেন খাল পরিষ্কার করতে। গতকাল (শুক্রবার) সকাল ৭ টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে।

উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাউবোকে বারবার জানানো হলেও এস নাইন কে খালের কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলস্বরূপ, প্রায় ৭ কিলোমিটার খালের পুরোটাই আগাছায় ভরে গেছে, যার কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। নিরুপায় কৃষকরা সাবেক ইউপি মেম্বার রাশেদুল হাসান ও পাপ্পুর নেতৃত্বে নিজেদের উদ্যোগেই খাল পরিষ্কারের এই মহৎ কাজ শুরু করেন।

কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন খালের পানিপ্রবাহ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এই স্বেচ্ছাশ্রমের সুফল ভোগ করবেন খালের দুই পাড়ের হাজারো কৃষক। কিন্তু তাদের মনে ক্ষোভ আর শঙ্কা দুটিই কাজ করছে। একদিকে পাউবোর মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের চরম দায়িত্বহীনতা নিয়ে ক্ষোভ, অন্যদিকে আশঙ্কা এই যে, তাদের এই স্বেচ্ছাশ্রমকে পাউবো কর্তৃপক্ষ যেন নিজেদের কাজ বলে চালিয়ে দিয়ে কোনো ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ না করে।

প্রশ্ন উঠেছে, যে কাজ করার জন্য একটি সরকারি সংস্থা বছরের পর বছর ধরে বাজেট পায়, সেই কাজ কেন সাধারণ মানুষকে নিজেদের টাকায় এবং শ্রমে করতে হবে? শৈলকুপার কৃষকরা আজ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা একদিকে যেমন তাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তির পরিচয়, তেমনি অন্যদিকে পাউবোর মতো প্রতিষ্ঠানের চরম ব্যর্থতার এক জ্বলন্ত উদাহরণ।

উপদেষ্টাঃ আলহাজ সিরাজ আহমেদ
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ রফিকুল ইসলাম রনি
প্রধান সম্পাদকঃ ইব্রাহিম রুবেল
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুল বারী
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
যোগাযোগঃ
৬/সি, আনেমা ভিস্তা (৭ম ফ্লোর), ৩০ তোপখানা রোড, ঢাকা ১০০০।
মোবাইলঃ ০১৮২৪২৪১০২৩, ০১৭১৯২৬৪০৪৫

Exit mobile version