মোঃ আহাদুল্লাহ সানা, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।মাছখোলার বেতনা ব্রিজ সংলগ্ন নদীর পাড়ে সাতক্ষীরা সামাজিক বনায়নের উদ্যোগে এক হাজার তালবীজ বপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় ৬৫০টা বীজ বপনের মধ্যে দিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
সামাজিক বনায়নের সদস্য ফাহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন জনতা ব্যাংক সুলতানপুর বাজার শাখার ম্যানেজার ও সাতক্ষীরা ব্যাংকার’স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুর রহিম।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদিজাতুল কোবরা কমপ্লেক্স এর প্রভাষক আব্দুস সাত্তার, নবজীবন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক শেখ বোরহান আলী, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মাছখোলা ৩নং ওয়ার্ডের রাম চন্দপুর জামে মসজিদের সভাপতি আরাফাত হোসেন, আইনজীবী সহকারী মফিজুল ইসলাম, নবজীবন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মাহমুদ হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবজীবন ইনস্টিটিউটের এডুকেশন কো-অর্ডিনেটর মো. রেজোয়ান হাসান খান চৌধুরী, শিক্ষক প্রিতম দাস, তালহা ইলেকট্রনিক্স এর প্রোপাইটার আবু তালহা, স্কাউট ছামি, রিহাব, আকিব আনজুম খান, শাহ আলম, আমিরাত হোসেন, সিফুল ও স্থানীয় রেজাউল করিম, আয়েশা, রিদয়, রিজিয়া প্রমুখ।
এসময় স্থানীয়রা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ বাড়ি থেকে তালবীজ নিয়ে এসে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। কার্যক্রমে দ্যা পোল স্টার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমজান হোসেন ১৫০টা তালবীজ, মুন্সিপাড়াস্থ ইউসুফ আলী ৩০টা তালবীজ, লাবসা এলাকার সুরাইয়া ৫০টা তালবীজ, কদমতলা থেকে রুকাইয়া ৫০টা তালবীজ ও নাম না জানা অনেক স্থানীরা স্থানীয়রা প্রচুর তালবীজ দিয়ে ও নিজ হাতে তালবীজ বপন করে অনুষ্ঠানটা সাফল্যমন্ডিত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আব্দুর রহিম বলেন, “তালগাছ শুধু পরিবেশ রক্ষার প্রতীক নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক ছায়া, খাদ্য ও ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে সুরক্ষা দেবে। আজ তালবীজ বপনে অংশ নিয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ ধরনের কার্যক্রম সমাজে সবুজায়ন বৃদ্ধি করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
প্রধান শিক্ষক শেখ বোরহান আলী বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে নিজেদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করেছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত একে অপরকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা। আজ যে তালবীজ রোপণ হলো, কয়েক বছরের মধ্যে তা বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়ে সমাজকে শীতল ছায়া ও উপকার দেবে। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনে ভুমিকা রাখবে”
সভাপতির বক্তব্যে ফাহাদ হোসেন বলেন, “তালগাছ বিদ্যুৎ পরিবাহী। তাই সহজে বজ্রপাত আকর্ষণ করে মানুষকে সেভ করতে পারে। গাছ ছাড়া মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তালগাছ শুধু আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য নয়, এটি পরিবেশ সুরক্ষারও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজকের এই কর্মসূচি সুশীল সমাজের পরিবেশ সচেতনতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে দিল। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা সাতক্ষীরাতে একটা বাবলা বাগান, একটা খেজুরবাগান ও একটা কেওড়াবাগান বানাতে চাই। সকলে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।”


