
মানিক ঘোষ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।। আনন্দে ভরা পাঁচটি দিন শেষ হলো আজ বিষাদের ছায়ায়। শারদীয় দুর্গোৎসবের মহিমা ও উচ্ছ্বাস শেষ হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গা বিদায় নিচ্ছেন মর্ত্যলোক থেকে, ফিরে যাচ্ছেন স্বামীগৃহ কৈলাসে।
সকাল থেকেই মণ্ডপে চলছে বিহিত পূজা, দর্পণ বিসর্জন আর বিদায়ের প্রস্তুতি। উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, ঘণ্টার রিনিঝিনি আর ঢাকের বাজনায় মুখরিত প্রতিটি মণ্ডপ। হাসি-আনন্দে ভরা পূজা পরিণত হচ্ছে বেদনার সুরে।
তবে এই বিদায় শুধু প্রতিমার নয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস—
কাম, ক্রোধ, হিংসা, লোভ ও লালসা বিসর্জন দিয়েই বিজয়া দশমীর প্রকৃত তাৎপর্য।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারই এই দিনের মূল শিক্ষা।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এ বছর ১০১টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিসর্জনের পুরো সময় টহল অব্যাহত থাকবে।
অতএব, প্রতিমা বিসর্জনের এ আয়োজন শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়—
এ যেন অসুর প্রবৃত্তি বিসর্জনের শপথ, মানবতার জাগরণ আর নতুন আশার মহোৎসব।

