
রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট আওতাধীন তেজগাঁও বিভাগীয় দপ্তরে কাওরানবাজার সার্কেলের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা সেজে কর্মচারীর সিন্ডিকেটে ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন রাজস্ব আদায় না করে ঘুষ বাণিজ্যর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে আসছেন কাওরানবাজার সার্কেলের দুই সিপাই মোঃ আজিজুল ইসলাম সিপাই জন্ম তারিখ ১২/০২/১৯৯৩ইং ও মোঃ তাইজুল ইসলাম সিপাই জন্ম তারিখ ২৮/০৫/১৯৮৮ইং দুইজন কর্মচারী যেখানেই পোস্টিং এ যায় এক জোক সেজে সেন্টিকেটের মাধ্যমে কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন সার্কেলের প্রতিষ্ঠানে যেয়ে অর্থ উপার্জন করে, এই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও টিভি চ্যানেলে তাদের ঘুষ বাণিজ্য দুর্নীতির খবরে নাম চলে আসে দুই কর্মচারীর নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনার হচ্ছেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ঢাকা দক্ষিণ কমিশনার জনাব জুয়েল আহমেদ এই দুই কর্মচারী ও বহিরাগতদের ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি আইনের দৃষ্টিতে আমলে না নেয়ায় অদ্য ২৬/১০/২০২৫ ইং এই দুইজন সিপাই কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদক চিয়ারম্যান বরাবর ও উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশনার বরাবর ঢাকা জেলা-১ এ মামলার আবেদন করেন ব্যবসায়ী মহল এবং অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান এবং সদস্য শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আগারগাঁও, এই দুই কর্মচারীর ঘুষ দুর্নীতির ও ব্যবসায়ী হয়রানি কারণে দুই সিপাই এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে মামলা রুজুর বিষয়টি অবগত করেন।
দুই সিপাইর বিষয় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন তারা গোলসিল মেরে আর অফিসে বসে ঘুষের টাকা উঠায় এ বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ না হলে ডিপার্টমেন্টে শান্তি আসবে না তিনি আরো বলেন যারা ঘুষ বাণিজ্য করে তাদের শাস্তির আওতায় আনবে যার যার দপ্তরের কর্মকর্তার দায়িত্ব- আরেকজন ক্যাডার অফিসার বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছু তিনি বলেন যদি নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনার যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। একজন ব্যবসায়ী বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছু
তাইজুল ইসলাম সিপাই আজিজুল ইসলাম সিপাই এর ল্যাপটপে দুই সিপাই কর্মচারীর ঘুষের টাকা হিসাব থাকে তার নিজস্ব ল্যাপটপে। বিগত দিনে আজিজুল-তাইজুল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঐক্য পরিষদের আন্দোলনে কাফনের কাপড় পড়ে আন্দোলন করেন এবং চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সাহেবের পদত্যাগ ও দাবি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমস তেজগাঁও বিভাগীয় দপ্তরের অধীনস্থ হাজার হাজার ব্যবসায়ী, কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জানা যায় ছোট বড় যে কোন প্রতিষ্ঠান আমরা ভ্যাট অফিসে গেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে এমনকি বহিরাগতদেরকেও টাকা না দিয়ে আসতে পারি না।
একজন প্রতিষ্ঠানের মালিক বলেন মাসিক মাসোয়ারা একটা অর্থ প্রতি মাসে দিয়ে থাকে তার পরেও যদি অতিরিক্ত হয়রানি করে ঘুষ নেয় কর্মকর্তা-কর্মচারী তাহলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা জরুরী।
কাওরানবাজার সার্কেলের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ বৃহত্তর পাইকারি ও খুচরা মার্কেট ক্যাবোকাস হার্ডওয়্যার মার্কেট সমিতির পক্ষ থেকে একজন দোকানদার জানায় শুধুমাত্র হার্ডওয়ার মার্কেট থেকে ৪০০ শত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে ৯.১ ভ্যাট রিটার্ন ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আমাদের একজন হুজুর ভাই প্রতি মাসে নিয়মিত সময় ভ্যাট অফিসে পেপারস জমা দিয়ে আসেন। একাধিক ব্যবসায়ী মহল জানায় যে সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যবসায়ীদেরকে হয়রানি করে তাদেরকে আইনগত শাস্তি দেয়া প্রয়োজন।

