
এলিসন সুঙ, মৌলভীবাজার।। গভীর উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপিত হলো খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জপমালা রাণী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।
এবছর জপমালা রানী মা মারীয়া তীর্থের মূলভাব হলো “বিশ্বাসের তীর্থযাত্রায় আশার সহযাত্রী, মা মারীয়“এই মুলসুরকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অধীনে হরিণছড়া চা বাগান তীর্থ স্থানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে শনিবার ও রবিবার দু’দিন ব্যাপী উদযাপন হলো জপমালারানী মা মারীয়া তীর্থোৎসব।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ছিলো এই তীর্থের মূলপর্ব খ্রিষ্টযাগ।এই মহা খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা আর্চ ধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ ও সিলেট কাথলিক ধর্মপ্রদেশর বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ এবং তাদেরকে খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেন শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনের পালপুরোহিত ড.ফাদার জেমস শ্যামল গমেজ সিএসসি,শ্রীমঙ্গল কাথলিক মিশনের সহকারী পরিচালক ফাদার খোকন বারো সিএসসি, সিলেট ধর্মপ্রদেশের সচিব ফাদার সরোজ কস্তা ওএমআই,নটরডেম স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্র পরিচালক ফাদার বিকাশ কুজুর সিএসসি ,বড়লেখা ডিমাই মিশনের ফাদার পাউলুস মুর্মু ওএমআই,কুলাউড়া লক্ষিপুর মিশনের ফাদার পি্য়ুস প:ডুয়েং ওএমআই,গিয়াসনগর মাইনর সেমিনারী সহকারী পরিচালক ফাদার টুইস বার্ডনাথ নকরেক, কমলগঞ্জ কামুদপুর সাব-প্যারিসের পরিচালক ফাদার ফ্রান্সিসকো রিজ্জু ,সিলেট ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ব্রাইন চঞ্চল গমেজ, ঢাকাতে ফাদার রবেন’সহ আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিশনের ফাদার,ব্রাদার,সিস্টারসহ ২০’হাজার অধিক ধর্মীয় বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত। এই তীর্থোৎসবে তীর্থযাত্রী খ্রিষ্টভক্তরা জপমালা রানী মা-মারীয়া কাছে দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেন।

আয়োজক সুত্রে জানাযায়, মারীয়া হচ্ছে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্টের মা।ঈশ্বর মারিয়াকে মনোনীত করেছেন যীশুর মা হওয়ার জন্য,তাই তিনি পবিত্র আত্মা মধ্যদিয়ে প্রভু যীশুকে গর্ভধারণ করেছেন এবং এ পৃথিবীতে যীশু খ্রিস্টকে জন্মদান করেছেন। তাই খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীরা প্রভু যীশু মা মারীয়াকে আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের মাতা হিসাবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আরও জানাযায়, এবছর ৩৬তম জপমালা মা মারীয়া তীর্থ পালন করা হচ্ছে । পাহাড়ি টিলা’য় অবস্থিত জপমালারানী মা মারীয়া তীর্থ স্থানে, খ্রিষ্টভক্তরা ব্যক্তিগত মানত, উদ্দেশ্য প্রার্থনা,পর্বের পর্বকর্তা,অনুতাপ প্রার্থনা,আরাধনা সংস্কার,কালভারীতে ক্রুশের পথসহ এক মাস ব্যাপী জপমালা প্রার্থনা ও নভেনা প্রার্থনা করেছে বিশ্বাসী ভক্তরা এবং নানান প্রতিকূলতা মাঝেও মা মারীয়া কাছে ভক্তি প্রদর্শন ও আশীর্বাদ পাবার জন্য এ তীর্থ স্থানে অনেক ভক্ত উপস্থিত হয়েছেন।এই তীর্থোৎসবকে কেন্দ্র করে তিনদিন ব্যাপী বসেছে মেলা।

