
আহাদুল্লাহ সানা, সাতক্ষীরা।। রোববার ২ নভেম্বর খ্রিস্টীয় ধর্ম অবলম্বীদের কবর দিবস পালিত হয়েছে । সারাবিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায় পালন করছে ‘অল সোলস ডে’; বাংলায় যা ‘মৃত মানুষের পর্ব দিন’ নামে পরিচিত। দিনটি মৃতদের শান্তি কামনা ও স্মরণে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় সংগীত ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে পালন করা হয়। তাদের সদ্গতি লাভ ও পাপমোচনের জন্য পৃথিবীব্যাপী চার্চগুলোতে আয়োজিত হয় বিশেষ প্রার্থনা ও ধর্মীয় আচার।
সকাল থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন গির্জা ও সমাধিক্ষেত্রে শুরু হয় দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা। পুরান ঢাকার ওয়ারীতে প্রাচীন খ্রিষ্টান সমাধিক্ষেত্রটিতে প্রতি বছর এই দিনে ভিড় জমান খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। রাত পর্যন্ত চলে প্রার্থনা, ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন। থাকে মৃতদের স্মরণে বিশেষ আয়োজন। প্রিয়জনের কবরের পাশে মোমবাতি জ্বালানো হয়, ছিটানো হয় গোলাপজল। আর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রয়াতদের। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
দিনটির আয়োজন বিষয়ে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা শাখার নেতারা জানান জানান, বিকেল ৪টায় বিশাল লোক সমাগমের মাধ্যমে মূল ‘খ্রিষ্টযাগ’ বা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তারা মৃত স্বজনদের সমাধিস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তাতে ফুল দিয়ে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানায়ছেন। খ্রিস্টীয় ধর্ম যাজকরা বলেন, দেশের সব খ্রিষ্টান চার্চেএই দিনে প্রার্থনা ও কবরস্থানে এ আয়োজন করা হয়। তবে প্রার্থনার সময় ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
আজকের এই দিনে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রার্থনা ও ভালোবাসা মৃতদের স্বর্গে পৌঁছানোর পথে সহায়তা করবে।
সাতক্ষীরা, আশাশুনি, দেবহাটা, বড়দল সহ বিভিন্ন গ্রামের খ্রিষ্টান সমাধিক্ষেত্রগুলোসহ অন্যান্য জায়গায় সকাল থেকেই শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন স্বজনরা।
অল সোলস ডে পালনের সূত্রপাত ১০৪৮ সালে ফ্রান্সের ক্লুনির মঠের অধ্যক্ষ ওডিলোর উদ্যোগে। তিনি ২ নভেম্বর দিনটিকে মৃতদের জন্য সাধারণ প্রার্থনার দিন নির্ধারণ করেন। পরে কয়েক শতাব্দীতে এ প্রথা ধীরে ধীরে পুরো খ্রিষ্টান বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ১৩ শতকের শেষ নাগাদ এটি সর্বজনীনভাবে পালিত হতে থাকে।ধর্মীয় আলোচনা করেন রেভা ফাদার ডমিনিক সরকার সি এস সি,রেভা ফাদার আশিষ রোজারিও সাতক্ষীরা ধর্ম পল্লী, ফাদার জুয়েল বড়দল সহযোগিতা ছিলেন আনজু সদ্দার বার্না বৈরাগী প্রমূখ।

