
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে দেশের বিভিন্নস্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নরসিংদী।
সকালের ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে একটি গণমাধ্যমকে দাবি করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার।
তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান সিসমোলোজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে ঢাকা ও গাজীপুরে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে এবং ঢাকার বংশালে তিনজন মারা গেছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) বলছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৫।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা বলেন, আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন।
এদিকে ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
চাঁদপুর, নীলফামারী, সীতাকুণ্ড, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, বগুড়া, বরিশাল, মৌলভীবাজার থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

