
(শৈলকুপা), ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।।শৈলকুপায় বিসিআইসি সার ডিলার এসোসিয়েশন’র সভাপতি নোমান পারভেজকে শোকজ করেছে কৃষি অফিস।
ডিলারদের কাছ থেকে সরকারী ভর্তুকীর শত শত টন সারের( ডিএপি) হদিস না পাওয়া, তথ্য গোপন করা সহ কৃষকদের কাছে বিতরণ না হওয়ায় প্রান্তিক চাষীদের মাঝে অসন্তোষ, হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্যোশাল মিডিয়া সহ মেইনস্ট্রিম গণমাধ্যমে এসংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়েছে। সেসব ঘটনায় শৈলকুপার ৭নং হাকিমপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি সার ডিলার ও এসোসিয়েশনর সভাপতি নোমান পারভেজ মোল্লা কে এই শোকজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ডিএপি সার নেই ও সংকট চলছে বলে যেসব তথ্য জানিয়েছেন ডিলার নোমান পারভেজ তা সত্য নয় উল্লেখ করে শোকজে জবাব চাওয়া হয়। তার বিভ্রান্তিকর তথ্যে কৃষক অসন্তোষ সহ তাদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শোকজে বলা হয়েছে।
এমন স্পর্শকাতর নানা প্রসঙ্গ সামনে আসায়, কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয় শোকজে।
মঙ্গলবার রাতে এই শোকজ নোটিশ দেয়া হয় বলে কৃষি অফিসের দপ্তর নিশ্চিত করেছে।
সম্পূর্ণ কৃষি নির্ভর শৈলকুপায় সারের কৃত্রিম সংকট কাটাতে ও কৃষকদের দোরগড়ায় দ্রুত সার পৌছে দিতে সরকারী উদ্যোগ যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, দীর্ঘদিন ধরে তেমন দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় সচেতন মহল সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে বিতর্কিত হয়ে পড়া অসাধু ও অতি মুনাফা লোভী ডিলারদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ শুরু হওয়াকে আশার আলো হিসাবে দেখছে কৃষকেরা।
প্রান্তিক চাষীদের অনেকে বলছে, দোষী ডিলাররা সাজা পেলে সার নিয়ে তাদের ভোগান্তি আর বাড়তি খরচ বন্ধ হবে। তারা ডিলারদের স্ব স্ব ইউনিয়নে না থাকা নিয়ে হতাশা জানিয়ে বলছেন, ডিলাররা যেন তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নে থাকে।
শৈলকুপার বিসিআইসি সার ডিলার ও সমিতির সভাপতি নোমান পারভেজ ওরফে নোমান মোল্লা এর আগে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালাতে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং জরিমানা আদায় করা হয়। সার গোপনে বিক্রি সহ ডিলার নীতিমালা না মানার কারণে জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রসঙ্গত শৈলকুপায় পেঁয়াজ চাষের ভরা মৌসুমে ডিলারদের কাছ থেকে সরকারী ভর্তুকী মূল্যের সার (ডিএপি) না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
শৈলকুপার বেশকিছু ডিলার সার কেলেঙ্কারী ও অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।

