
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)।। আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহকারী আলিম শিক্ষক আবুল হোসেন তার সাথে প্রতারনা করে শিক্ষক তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন জানান, আমি সহকারী আলিম শিক্ষক হিসাবে ০১/০৭/১৯৯১ নিয়োগ পাই ও যোগদান করি। সেই থেকে নিয়মিত পাঠদান করে আসছি। কমিটি নিয়োগপত্রে মাসে ২শত টাকা করে দেবে বললেও কোন টাকা দেয়নি। এমনকি আমি শিক্ষক থাকাকালীন দেবরঞ্জন ও নাজমুল হোসেনকে সাধারণ জেনারেল শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন। এবং পরবর্তীতে নানা ষড়যন্ত্রেরর অংশ হিসাবে শিক্ষক তালিকা থেকে আমাকে বাদ দিয়ে দেন। আমি ২০১৯ সালে ইউএনও মহোদয়ের কাছে আবেদন করলে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহকে তদন্ত ভার অর্পন করলে তিনি আমাকে সহকারী আলিম শিক্ষক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে বলে মতামত দেন। ইউএনও স্যার তার দপ্তরে হেয়ারিং শেষে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। কিন্তু অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করলে তিনি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বলেন। নির্বাহ অফিসারের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে আহবায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে আমার পক্ষে প্রতিবেদন দেন। আমি মাদ্রাসায় গেলে গুমখুনের হুমকি দেয়া হয়। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবহিত করে সাধারণ ডায়েরী করি। গত ২০/০৫/২০২৫ তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে ৬ নং স্রিয়ালে নাম রেখে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। আমি মাদরাসায় গেলে প্রধান শিক্ষক মেনে নিতে চান না। শরাপপুর ইউনাইডেট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানালে মিমাংসা উদ্যোগ নেন। তখন তারা পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করে। যার রেকর্ডিং আছে। গত ১০ নভেম্বর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর হতে এমপিওর জন্য শিক্ষা জনবল তালিকা চাইলে ২৫ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২ জনের স্বাক্ষরিত ৬ জনের তালিকা করেন। আমি ২৫ নভেম্বর মাদরাসায় পাঠ দান করছিলাম। প্রধান শিক্ষক হঠাৎ ইউনুস আলীকে ফোন করে আমাকে ১টা পর্যন্ত মাদরাসায় থাকতে বলেন। পরে জানতে পারি আমাকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ৫ জনের তালিকা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠান হয়েছে। এসময় প্রধান শিক্ষকের হুকুমে আজাদ গাজী হঠাৎ করে মাদরাসায় এসে হাজিরা খাতা ছিড়ে ফেলেন এবং হুমকি-ধামকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে মাদরাসায় আসতে নিষেধ করে। ঐ দিন প্রধান শিক্ষক ও ৩ জন সহকারী শিক্ষক মাদরাসায় আসেননি। আমি বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে স্থগিত, যাচাই-বাছাই ও সংশোধনের জন্য আবেদন করি।
আমার দাবী: ২০১৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ৬, ৭, ৮, ৯ অনুচ্ছেদে শিক্ষক জনবল মোতাবেক ২ জন জেনারেশ শিক্ষক তালিকায় অন্তভুক্তের বৈধ নয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে সবিনয় নিবেদন তালিকাটি সংশোধন পূর্বক আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যায় তার বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।

