রাঙা প্রভাত ডেস্ক :-  বোনের সঙ্গে প্রেম করায় নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে কলেজছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন আশিককে হত্যা করেছে মাহিম টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মাহিম এসব কথা জানান।
পরে আশিকের লাশ বাড়ির পাশে লৌহজং নদীতে কচুরি পানার নিচে ফেলে দেয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপম কুমার দাশ তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে সন্ধ্যায় তাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, শহরের কাগমারা এলাকার বাসিন্দা ও ঢাকায় পুলিশে কর্মরত রাশেদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হন। কয়েকমাস তাদের প্রতিবেশী মাহিমের বোনের সঙ্গে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মামুন তার প্রেমিকাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়। এটা জানতে পেরে প্রেমিকার ভাই মাহিম ক্ষুব্ধ হয়।

নিখোঁজের দিন মোবাইল ফোনটি ফেরত নেয়ার জন্য মাহিম তাদের বাড়িতে মামুনকে ডেকে পাঠায়। ওইদিন ফোন ফেরত আনতে গিয়েই মামুন নিখোঁজ হন। পরে গত ৫ মে সন্ধ্যায় লৌহজং নদীতে মামুনের লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে।

লাশ উদ্ধারের পরেই পুলিশ মাহিম, তার মা ও বোনকে আটক করে। গত ৬ মে মামুনের লাশ দাফনের পর তার মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহিম মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে তিনি জবানবন্দি দেন। মাহিম ঢাকার একটি মাদরাসায় অধ্যয়নরত।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে মাহিম জানিয়েছেন ঘটনার দিন তার বোনকে দেয়া মোবাইল ফোন ফেরত নেয়ার জন্য মামুনকে খবর দেয়া হয়। সন্ধ্যার পর মামুন ফোন ফেরত নিতে মাহিমদের বাসায় যান। আগে থেকেই ছুরি চেয়ারের পিছনে রেখেছিলেন। মামুনের পাশে বসে কথা বলার একপর্যায়ে মাহিম ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে গভীর রাতে লাশ বাসার পাশে লৌহজং নদীতে কচুরি পানার নিচে ফেলে রাখেন। গ্রেপ্তার হওয়া মাহিমের মা ও বোনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

Share.
Exit mobile version