নিজস্ব প্রতিবেদক:- নাম তার সাথী আক্তার। ১৭ বছর আগে জীবিকার তাগিদে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জে আসেন। মাদারীপুর জেলার কালকিনি থেকে আসা সাথী আক্তার জন্মসূত্রে হরিজন সপ্রদায়ের না হলেও বৈবাহিক সূত্রে তিনি হয়ে যান হরিজন স¤প্রদায়ের। ২০০৩ সালে জীবিকার তাগিদে সে স্বামীর সাথে বাবুগঞ্জ বন্দরে বসবাস শুরু করেন।
স্বামীর সুইপার পেশাকে ধারণ করে তার সাথে নেমে পরেন জীবিকার তাগিদে। চার সন্তানের জননী সাথী আক্তারের স্বামী সুমন খান ২০১৪ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। এর পর থেকেই শুরু হয় সাথীর বেঁচে থাকার লড়াই। সন্তানদের নিয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছিলেন সাথী।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশ যখন লগডাউন, ঠিক সেই সময়ে সাথী আক্তার তার সন্তানদের নিয়ে থাকতে চেয়েছিলো তার ঘরে কিন্তু কিভাবে থাকবে? তার তো মাথা গোঁজার নিজস্ব কোন ঘর নেই। দীর্ঘ ১৭ বছর বাবুগঞ্জ বন্দরের গণশৌচাগারের সাথে একটি টিনের চালার নিচে তার ছিলো বসবাস। সেই ঘরটিও আজ জীর্ণতা বাসা বেঁধেছে। মাথার উপর সামান্য কয়েকটি টিনও আজ ভেদ করে বর্ষনের পানি পড়ছে তার মেঝেতে। গত কয়েকদিন পূর্বে বর্ষায় সবাই যখন রাতের গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক তখন সন্তানদের নিয়ে সাথীর চলে বেঁচে থাকার লড়াই। তার বসত ঘরের পুরো টিনের চালা ভেদ করে প্রবল বর্ষন আলিঙ্গন করছে সাথীর পরিবারের সাথে।
জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে না পারলেও সাথী আক্তারের তেমন কোন চাওয়া নেই সরকারের কাছে। শুধু সন্তানদের নিয়ে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পেতেছেন সাথী। তিনি (সাথী) জানান, গত এক মাস পূর্বে সমাজ সেবক আতিকুর রহমান আতিকের দেয়া চাল, ডাল, আলু, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ছাড়া আজও তার ভাগ্যে জোটেনি সমাজের বিত্তবান কিংবা জনপ্রতিনিধির কোন খাদ্য সহায়তা। ফলে বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে চরম খাদ্য সংকটে পরেছেন সাথী আক্তার। এদিকে ঘরের চালার ব্যবস্থ করে দিয়েছে বাবুগঞ্জের তরুণ সমাজসেবক আতিকুর রহমান আতিক, নগদ টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন আরেক তরুণ সমাজ সেবক মাহাবুবুর রহমান সোহাগ।