রবিবার বেলা ৩ টায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমুলক সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এসময় জেলার ৮ টি উপজেলা প্রশাসনকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর মধ্যে পটুয়াখালী সদরে ১৯, দুমকী ৪৩, মির্জাগঞ্জে ২৭, বাউফলে ১৩৫, দশমিনায় ৫৭, গলাচিপায় ১০৭, কলাপাড়ায় ১৬০ এবং রাঙ্গাবালীতে ৫৪টি আশ্রায়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টিম গঠন করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার জন্য রেড ক্রিসেন্টসহ উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জেলার কোথাও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ থাকলে তা দ্রুত মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)কে বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গভীর সাগরে মাছ ধরায় নিয়োজিত ট্রলারগুলোকে ১৯ তারিখ রাতের মধ্যে উপকুলে ফিরে আসতে বলার জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০ তারিখ থেকে আগামী ৬৫ দিন সাগরে সবধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
এদিকে দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা জোরালো করার ঘোষণা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, আশ্রয় নেয়া বাসিন্দাদের ঘরবাড়ির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসন্ন ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছি।