১৩টি ভাষায় আবৃত্তি হলো করোনা দুর্যোগ নিয়ে লেখা একটি কবিতা। লিখেছেন দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল-মাসুম মোল্লা। সাংবাদিকতার পাশাপাশি কবিতা ও সাহিত্য চর্চায় ঝোঁক তার।

সাম্প্রতিক করোনা দুর্যোগের বাস্তবতা নিয়ে তার লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার, অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী রাইসুল ইসলাম আসাদ। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অঙ্গনে বেশ প্রশংসিত হয়। এবার আলোচিত সেই কবিতা অনুদিত হলো বিশ্বের ১৩টি ভাষায়। শুধু অনুবাদই নয়। সেই ১৩ দেশের তরুণ আবৃত্তিশিল্পীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হলো কবিতাটি।

বাংলা ভাষায় কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও কলকাতার শ্রীলা মজুমদার, স্প্যানিশ ভাষায় ইকুয়েডরের মনিকা সিসিলিয়া, জাপানিজ ভাষায় জাপানের মিহা সাতো, টার্কিশ ভাষায় তুরস্কের আইশে সন্তরন, স্প্যানিশ ভাষায় মেক্সিকোর জোয়ান মায়োরগা, ফিলিপিনো ভাষায় ফিলিপাইনের সোফিয়া, ইউক্রেনিয়ান ভাষায় ইউক্রেনের কেটি কট, মেসিডোনিয়ান ভাষায় মেসিডোনিয়ার নাতাশা দোকভস্ক, ফ্লেমিং ইজেটজেন, ডেনিশ ভাষায় ডেনমার্কের স্যামুয়েল চাদেমানা জাম্বিয়া, ইংরেজি ভাষায় যুক্তরাজ্যের নিনজা মিখাইল হেবিস, সিংহলিজ ভাষায় শ্রীলঙ্কার পিউশানি ইলিগানা, রাশিয়ান ভাষায় রাশিয়ার ইয়াবেহেনিইয়া লিপস্কা।

কবিতার প্রেক্ষাপট নিয়ে রচয়িতা সাংবাদিক আল মাসুম জানান, করোনার কারণে যখন সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে ঘরে বন্দি তখন মনে হলো করোনা তো একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমিও তো মানুষকে সচেতন করতে পারি আমার কবিতার মাধ্যমে। সেই চিন্তা থেকে আমি মোট পাঁচটি কবিতা লিখি করোনা নিয়ে। কবিতাগুলোয় সচেতনতা তৈরি, মানুষ-প্রকৃতির বৈরী সম্পর্ক, প্রকৃতির প্রতিশোধ আর প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণের বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে। কবিতা লেখার পরে মনে হলো এটি যদি বিখ্যাত আবৃত্তিকারদের দিয়ে পড়ানো যায় তবে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবো। সে চিন্তা থেকে যোগাযোগ শুরু করলাম। তারপর হাসান আরিফ, আহকাম উল্লাহ, ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার ও বাংলাদেশের বিখ্যাত অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ আবৃত্তি করেছেন।

ভিন্ন ভিন্ন ভাষার এতগুলো মানুষকে একটি কবিতার মধ্যে আবদ্ধ করা গেলো কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক ও কবি আল মাসুম বলেন, শুরুতে ইচ্ছে ছিল ইংরেজিতে অনুবাদ করা। পরে মনে হলো বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব কিনা। সে চিন্তা থেকে দারস্থ হলাম শ্রদ্ধেয় আফসান চৌধুরী ভাইয়ের কাছে। তিনি অনুবাদ করে দিলেন। তারপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধুদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করলাম। সবাই খুব উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসলো। তারা অনুবাদ করে আবৃত্তি করে পাঠালো আমাকে। এভাবেই বাংলাদেশের একটি কবিতা ছড়িয়ে গেলো বিভিন্ন প্রান্তে।

Share.
Exit mobile version