উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এদিকে গাছ ও দেয়াল চাপায় বিভিন্ন স্থানে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

ঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, আশাশুনিতে ২৩টি পয়েন্টে বেড়িবাধ ভেঙে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। শতশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। উপড়ে গেছে বহু গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমি। প্লাবিত হয়েছে মৎস্য ঘের। রাজশাহী, কুষ্টিয়া ছাড়াও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন উপকূলের বেশিরভাগ এলাকা। বাগেরহাটের মোংলা, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সকালে ঝড়ের তাণ্ডব কিছুটা কমলে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ভেঙ্গে পড়া ঘরবাড়ি মেরামতের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

এদিকে পটুয়াখালীতে গাছ চাপায় এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া, নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ এক ভলান্টিয়ারের মরদেহ নয় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। ভোলায় ঝড়ের সময় নৌকাডুবে একজনের মৃত্যু এবং গাছ চাপায় মারা গেছে আরও একজন। যশোরের চৌগাছায় গাছচাপায় মারা গেছেন মা ও মেয়ে। এছাড়া গাছ চাপায় সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, রংপুরে একজন করে নিহত ও পিরোজপুরে দেয়াল চাপায় মারা গেছেন আরও তিন জন।

Share.
Exit mobile version