বেশিরভাগ মানুষ কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে বাসের উপর। কিন্তু গণপরিবহনে চড়লে মেনে চলতে হবে কিছু স্বাস্থ্যবিধি। তবে কাজের জায়গা খুব বেশি দূরত্বে না হলে হেঁটেই যাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে শরীরচর্চা হবে আবার সংক্রমণও এড়াতে পারবেন।
বিশ্বজুড়ে মহামারী সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায় মানুষে মানুষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। বাসসহ যেকোনো পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা অনেকটাই অসম্ভব। রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি খুব বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘেঁষাঘেঁষি করে গণপরিবহনে যাতায়াতের ফলে ড্রপলেটের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অন্যান্য জায়গার তুলনায় ঘণ্য়টা ২০-৩০ গুণ বেশি। তাই সাবধান হতে হবে অনেক বেশি।
খুব ভিড় বাসে উঠবেন না। এক্ষেত্রে হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বেরতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে লাইন দিয়ে বাসে উঠবেন। চেষ্টা করবেন, জানলার কাছে থাকতে যাতে বাইরের বাতাসে শ্বাস নেয়া যায়।
তিন স্তরীয় মাস্ক পরার চেষ্টা করুন। হাতে বানানো কাপড়ের মাস্ক হলে তা যেন তিন স্তরবিশিষ্ট হয়। ভিড় জায়গায় সাধারণ মাস্ক কার্যকর নয়। সার্জিকাল মাস্কও পরা খুব ভালো। এতে ড্রপলেট থেকে সহজে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
বাস বা ট্রেনে যাওয়ার সময় ফেস শিল্ড ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।
কোনো অবস্থাতেই নাকে, মুখে বা চোখে হাত দেবেন না। একান্ত দিতেই হলে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে তারপর হাত দিন। কাজ মিটলে ফের সাবান দিন হাতে।
ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান নিতে ভুলবেন না। কোনো অবস্থাতেই রাস্তার পানি বা খাবার খাবেন না।
অল্প দূরত্ব হলে সেটুকু হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ট্যাক্সি বা অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে গেলে চালকের পাশে বসবেন না, পিছনে বসুন।
বাস, ট্রেন থেকে নেমে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে টুপি, গ্লাভস, মাস্ক ও ফেস শিল্ড খুলে হাত মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে কাজে বসুন।
গণপরিবহনে উঠে মোবাইল ফোন প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করবেন না। মোবাইল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে।
সঙ্গে আদার টুকরো নিয়ে যাবেন। মুখে রাখলে গলার সংক্রমণ কিছুটা আটকানো যায়। পানি বা খাবার খাওয়ার আগে লবণ-পানিতে গার্গল করে নিতে পারলে ভালো হয়।