বরিশাল অফিস :- কথিত সালিশ বৈঠকে জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার একটি মাদরাসার অফিস সহকারীকে মারধর করে হাত বেঁধে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ভিডিও ধারন করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

থানার ওসি আবিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী ও সিকদারবাড়ি জামে মসজিদে ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন নিজেই বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভূক্ত আসামি বজলু আকনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওসি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বুধবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ তাদের কতিপয় সহযোগিরা কথিত সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। পরে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য ওই অফিস সহকারীর কাছে ৫০ হাজার চাঁদা দাবি করা হয়। তা দিতে অস্বীকার করায় যাটোর্ধ্ব শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনের পিঠমোরা করে হাত বেঁধে মারধর করার পর জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। পুরো বিষয়টি ভিডিওধারণ করে রাতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার আলাউদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে উপবৃত্তির তালিকা পাঠানোর সময় এক ছাত্রী মাদরাসায় না আসায় সেখানে তার একটি মোবাইল নম্বর দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ওই নম্বরটি ব্যবহার না করায় এটি বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানী। কয়েকদিন আগে মোবাইল নম্বরটি সচল করে তিনি উপবৃত্তির জমা হওয়া ১৮শ’ টাকা দেখতে পান। ওই টাকা ছাত্রীর পরিবারকে বুঝিয়ে দিতে চাইলেও গত ৩০ মে তাকে মারধর করে সিম কার্ডটি নিয়ে যায় ছাত্রীর খালু সাবেক ইউপি সদস্য ছত্তার সিকদার। পরবর্তীতে তার কাছে আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

অভিযোগের ব্যাপারে দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ী দম্ভোক্তির সুরে বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, যা হবার তা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে।

Share.
Exit mobile version