বরিশাল অফিস :- বরিশাল নগরীর অলিম্পিক সিমেন্ট কারখানার শ্রমিকদের দুই মাসের বেতন, বোনাস, ওভারটাইম ও প্রাপ্তইংক্রিমেন্ট পরিশোধ না করেই করোনার সঙ্কটময় মুহুর্তে একসাথে দেড়শ’ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইতোমধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কারখানার শ্রমিক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গত ১ জুন থেকে আমাদের কাজে যোগদান করার কথাছিলো। কিন্তু গত ৩১ মে রাতে আমাদের কোন ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়েই টেলিফোনে কারখানায় যেতে নিষেধ করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গত ১ জুন কারখানায় গেলে আমাদের আন্দোলন না করার জন্য হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে।
শ্রমিকদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাওয়া জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী বলেন, করোনার দুর্যোগে মালিক পক্ষের উচিত ছিলো শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো। তারা সেই মানবিকতার কাজটি না করে উল্টো কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন লঙ্ঘন করে গণহারে শ্রমিকদের ছাঁটাই করেছে। সেক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া বেতন, বোনাস কিছুই পরিশোধ করা হয়নি।
মনীষা চক্রবর্তী আরও বলেন, অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ করা না হলে শুধু অলিম্পিকের শ্রমিক নয়, বরিশালের সবশ্রমিকদের যুক্ত করে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।