করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে গিয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন সাংবাদিক। এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বগুড়ায়। নিহত সাংবাদিক ওয়াসিউর রহমান রতন (৬২) স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক। এদিকে, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন।

বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে গিয়ে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক বগুড়ার বার্তার সম্পাদক ওয়াসিউর রহমান রতন (৬২)।

বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন জানান, সাংবাদিক রতন তার স্ত্রী, পুত্রবধূ ও নাতনীকে নিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে যান রতন। নমুনা দেয়ার আগেই তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে। সেখানে দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান।

শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার আবদুল ওয়াদুদ জানান, রতন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তার রক্তচাপ বেশি থাকায় সম্ভবত তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে একজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এবং দুপুরে একজন স্কুল শিক্ষক ও একজন গৃহিনী মারা যান মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে। হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শফিক আমিন কাজল জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান (৬৮) বুধবার দুপুরে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। পরীক্ষার জন্য তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে তিনি মারা যান।

শ্বাসকষ্ট নিয়ে সকালে আইসোলেশনে ভর্তি হন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক আবু ইউসুফ (৩৭)। ৬ মে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসার পরও তার জ্বর-শ্বাসকষ্ট না কমায় স্বজনরা তাকে আইসোলেশনে আনেন। নতুন করে নমুনা সংগ্রহের পর দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান। এর ঘণ্টাখানেক পর মারা যান বুধবার রাতে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া ধাওয়াপাড়া এলাকার সালেহা খাতুন (৪৯) নামের এক গৃহিনী। এ নিয়ে বগুড়ায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ১৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে

Share.
Exit mobile version