করোনা সংক্রমণের এ সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

যেহেতু এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি, তাই সচেতনতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় সঠিক খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত মাঝারি মাপের ঘাম ঝরানো আসন ও মর্নিং ওয়াক করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আসুন জেনে নিই কি করবেন-

১. ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত করার সময় শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। ফলে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সহজে আক্রমণ করতে পারে না।

ইমিউন সিস্টেম শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে জীবাণুদের বংশ বিস্তার থামিয়ে দিতে চেষ্টা করে। আর ব্যায়াম করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

২. গা ঘামিয়ে ব্যায়াম করলে বিপাকীয় প্রক্রিয়ার হার বাড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৩. শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন হয়। তাই ক্ষয়জনিত ব্যাধি দূর হয়।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করলে শ্বাসনালি ও ফুসফুসের জীবাণুরা বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। তাই সর্দি-কাশি ও শ্বাসনালির সংক্রমণ দ্রুত হয় না।

৫. হাঁটাহাঁটি ও অন্যান্য ব্যায়াম করলে ওজন স্বাভাবিক থাকে।

৬. নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে বিভিন্ন জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরির গতি বেড়ে যায়। শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ে। শ্বেত রক্তকণিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৭. ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক ডায়েট এবং মন ভালো রাখতে হবে। এছাড়া ধূমপানসহ তামাক ও মদ্যপানের নেশা ছাড়তে হবে।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Share.
Exit mobile version