সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার আগে সেখানেই তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মোহাম্মদ নাসিমের জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। মায়ের কবরের পাশেই দাফন করা হবে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদকে।
শনিবার (১৩ জুন) মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার রাত ১২টায় মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তন্ময় দেশে ফিরবেন। আজ রাতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের মর্গে মোহাম্মদ নাসিমের মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বনানীতে মোহাম্মদ নাসিমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নাসিমের মরদেহ সিরাজগঞ্জে নেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে আজ বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর ঘোষণা দেওয়া হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। টানা প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তিনি।
রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টায় করে পর্যবেক্ষণে রাখে মেডিকেল বোর্ড। এর মধ্যেই পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি তার শরীরে।
কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রক্তচাপ অস্বাভাবিক উঠা নামা করতে থাকে নাসিমের।এরপর গতকাল শুক্রবার পরিস্থিতি আরও জটিল হতে থাকে। তার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় বিদেশ নেয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে পরিবার।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। সিরাজগঞ্জ থেকে পাঁচ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রের দায়িত্বও সামলে এসেছেন তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর আগে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেয়া হয় তাকে। এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান