শাহ্জাহান সরকার, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, পাবনা :- ১৩ জুন শনিবার পাবনা জেলার কাশীনাথপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী সন্তান প্রসব করেছে।

জানা যায়,কাশিনাথপুর পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে গতকাল দুপুর ২.০০ ঘটিকার সময় সুস্থ, সুন্দর ও ফুটফুটে একটি পুত্রসন্তান জন্ম হয়। তবে জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন হলো কে এ সন্তানের বাবা ? কি হবে তার বংশ পরিচয়? কে নিবে তার দায়ভার? নিশ্চয়ই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারও জানা নেই। কারণ এই সভ্য সমাজে কিছু মানুষরুপি অমানুষ আছে।যারা পারে না এমন কোন জঘন্য কাজ নেই,যা তারা করতে পারে না।তেমনি এক জঘন্য মানুষরুপি নরপশুর যৌন লালসার শিকার হয়ে পাগলিটা জন্ম দিয়েছে এই নবজাতক পুত্র সন্তানটিকে।দীর্ঘদিন ধরে আনুমানিক ১৭/­১৮ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী দীর্ঘ দিন ধরে কাশিনাথপুর, দ্বারিয়াপুর,বিরাহিমপুর,­ চব্বিশমাইল,দুলাই,চিন­াখড়া’সহ বিভিন্ন বাজারে ঘোরাফেরা করতো। তার নাম,ঠিকানা সম্পর্কে স্থানীয় কেউই অবগত নয়।হোটেল-রেস্টুরেন্­ট বা মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় তার খাওয়া পরা চলে আর যখন যেখানে যাওয়া হয় সেখানেই তার রাত্রি যাপন। সম্প্রতি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুণীর সন্তান সম্ভবা হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়।

গত ৬ জুন ওই নারীর কয়েকটি ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় উদ্যমী ব্যক্তি সোস্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ স্বপন খন্দকার।এরপর আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি ওই নারীর সাহায্যে সমাজের সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তাঁর আহ্বানে সাড়া দেন কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ও এভারগ্রীন ফ্রেন্ডস সার্কেল নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুন দুলাই-চিনাখড়ার মধ্যবর্তী গুচ্ছগ্রামের নিকট থেকে ওই নারীটিকে নিয়ে এসে কাশীনাথপুর পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ২.০০ টায় সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। এমন খবর শুনে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে খাদ্য, ওষুধ ও আর্থিক সহায়তা’সহ বিভিন্নভাবে যারা এগিয়ে এসেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাশিনাথপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর মোঃ শফিকুল আলম খান টিটুল, বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা.আল আমিন,সাব ইন্সপেক্টর শেখ সজিব, পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মোঃ সুজন হোসেন এবং বিডি এভারগ্রিনের শেখ শাহিন ও কৌশিক আহমেদ অনিক প্রমূখ। এ প্রতিবেদককে শফিকুল আলম খান টিটুল বলেন,বিষয়টি জানতে পেরে মানবিক কারণেই আমি এদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। তবে ঘৃণা জানাচ্ছি সেই সব নরপশুদের,যারা মানসিক ভারসাম্যহীন একটি মেয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এমন পাপিষ্ঠ কাজটি করতে দ্বিধা করেনি।মানুষ হিসাবে এটা আমাদের কাম্য নয় কারণ মানুষ মানুষের জন্য। তিনি আরও জানান,এই নরপশু,মানুষরুপি অমানুষদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

Share.
Exit mobile version