কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ- শোক বার্তায় বলেন, মোহাম্মদ নাসিম চাচার মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়। মোহাম্মদ নাসিম চাচার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং জাতীয় চার নেতার একজন। পিতার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অগ্রণী ভূমিকা বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। আমার পিতা মহান মুুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিলের অত্যান্ত প্রিয় বন্ধু ছিলেন মরহুম নাসিম চাচা। আমি মরহুম নাসিম চাচা আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আমি তাঁর জন্য সর্বস্তরের জনগনের কাছে দোয়া চাচ্ছি। মহান আল্লাহ নাসিম চাচাকে যেনো বেহেস্ত নসীব করেন “আমিন”।
জানা যায়, হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন বেসরকারি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ৫ জুন সকালে তার ‘ব্রেইন স্ট্রোক’ হলে সেখানেই তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউতে) থাকা নাসিমের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। এর পর তিন দফা তার করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এলেও তার লাইফ সাপোর্ট সরানো সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।