বরিশাল অফিস :- করোনায় আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আব্দুল আজিজ হাসপাতালে প্রায় একমাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের মন্টু হাওলাদার (৪০) নামের এক প্রবাসী যুবক মারা গেছেন। তিনি (মন্টু) ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আলিম হাওলাদারের পুত্র।
সোমবার দুপুরে সৌদি আরবে বসবাসরত মৃত মন্টুর অপর সহদর নুর আলম হাওলাদার মোবাইল ফোনে জানান, কর্মের সুবাধে তারা দুই ভাই দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে বসবাস করছেন। এরমধ্যে তার বড়ভাই মন্টু হাওলাদার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের একটি কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, গত রমজান মাসের শেষেরদিকে তার ভাই মন্টু হাওলাদার জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে রিয়াদের আব্দুল আজিজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য যায়। রির্পোটে তার করোনা পজেটিভ আসায় তাৎক্ষনিক তাকে ওই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় একমাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১৪ জুন (রবিবার) বাংলাদেশের সময় দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে সে মারা যায়। মৃত্যুকালে তিনি (মন্টু) মা, স্ত্রী ও দেড়বছরের একটি শিশু কন্যা রেখে গেছেন।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও মৃত মন্টু হাওলাদারের মামাতো ভাই মোঃ এমদাদ হোসেন হাওলাদার জানান, মন্টু হাওলাদার ছিলো সৌদি আরবে অবস্থানরত বরিশালবাসীর কাছে একটি পরিচিত মুখ। প্রবাসীরা যেকোন সমস্যায় পরলে খবর পেলেই নিঃস্বার্থভাবে মন্টু এগিয়ে যেতো সবার সহযোগিতার জন্য। এছাড়াও গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জন্য সে (মন্টু) সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার (মন্টু) মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পরলে তার পরিবারের পাশাপাশি পুরো খাঞ্জাপুর ইউনিয়নজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সূত্রমতে, বাংলাদেশ থেকে মৃত মন্টু হাওলাদারের ওয়ারিশগনের চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাওয়ার পর তাকে (মন্টুকে) সৌদি আরবেই সরকারীভাবে দাফন করা হবে। বর্তমানে তার মৃত দেহ রিয়াদের আব্দুল আজিজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।