কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেনের বাড়ি থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে নুর হোসেনসহ চার পাচারকারীর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্য তিন পাচারকারী হচ্ছে, সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহ আলম, দীল মোহাম্মদ ও লালাইয়া। এখন পর্যন্ত চারজনের সবাই পলাতক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, চেয়ারম্যান নুর হোসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী। তবে তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।
ওসি আরও জানান, এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা মিয়ানমার থেকে পাচার করার সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। পরে নুর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার পিস উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকেই আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে নুর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে চেয়ারম্যানের শ্বশুর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া ঘটনাকে ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন। বলেন, ‘নুর হোসেন কোনো দিনই ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত ছিল না। উল্টো ইয়াবা পাচারের খবর শুনে নিজেই পাচারকারীদের বিষয়ে থানাকে অবহিত করেন এবং সরেজমিন ইয়াবার চালান উদ্ধারে যান। অথচ পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় আসামি করেছে।’