বরিশাল অফিস :- ছেলে ও তার স্ত্রীর কাছে দু’মুঠো খাবার চেয়ে না পেয়ে নিজের নামের বয়স্ক ভাতার টাকা চাওয়ায় নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে একসময়ের স্বনামধন্য ব্যক্তি স্বর্গীয় সূর্যকান্ত ব্যাপারীর বৃদ্ধা স্ত্রী গেনোদা ব্যাপারীকে (৯৫)। হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে জেলার আগৈলঝাড়ার উপজেলার বারপাইকা গ্রামে।

ওই বৃদ্ধার শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু থাকার আশঙ্কায় প্রায় দুইমাস বসত ঘরে না রেখে বাহিরের একটি মন্দিরের সামনে রাখা হয় গেনোদা ব্যাপারীকে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে নির্মম নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধা জানান, সোমবার দুপুরে দু’মুঠো খাবার চেয়ে না পেয়ে নিজের নামের বয়স্ক ভাতার টাকা চাওয়া তার পুত্র জগদীশ ব্যাপারী ও পুত্রবধূ শিখা রানী ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে পাষন্ড পুত্র ও তার স্ত্রী মিলে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। কান্নাজড়িত কন্ঠে বৃদ্ধা গেনোদা ব্যাপারী বলেন, আমার মতো আর যেন কোন মায়ের সন্তান না হয়। এতো কস্টের চেয়ে ভগবান কেন আমারে নিয়ে যায়না, বলেই কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা গেনোদা ব্যাপারী।

স্থানীয় বাসিন্দা বিভূতি মন্ডল, বাসুদেব সরকারসহ অনেকেই জানান, নির্যাতনের সময় বৃদ্ধার চিৎকারে তারা এগিয়ে আসলে জগদিশের স্ত্রী শিখা রানী তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ারও হুমকি প্রদর্শন করে। এলাকাবাসী বৃদ্ধা গেনোদা ব্যাপারীর ওপর অমানুষিক নির্যাতনের সঠিক বিচারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জগদিশ ব্যাপারীর সাথে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করার পর তিনি দম্ভো করে বলেন, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক সমস্যা, এখানে কাউকে নাক গলাতে হবেনা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, এখনই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share.
Exit mobile version