বরিশাল অফিস :- জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী চালের ১৮৩ বস্তা চাল ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের দায়েরকৃত মামলায় অবশেষে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারীকে মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে একইদিন ওজনে চাল কম দেওয়ার সময় দুই ইউপি সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এ খবর পেয়ে পালিয়ে যায় চেয়ারম্যান নুরে আলম। পরবর্তীতে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা আত্মসাতকৃত চাল উদ্ধারের পর নুরে আলম ও তার ভাইসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই সকল আসামি আত্মগোপনে ছিলো। তবে চাল চুরির অপরাধে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই দুই ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

র‌্যাব-৮’এর অপারেশন অফিসার (এএসপি) মুকুর চাকমা বলেন, নূরে আলম বেপারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ায় দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাণের ভিজিডি, ভিজিএফ এবং ১০ টাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করে তা গোডাউনে বসেই বিক্রি করতেন। এছাড়াও সরকারি খাসজমি দখল করে বহুতল ভবন এবং অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বাবুগঞ্জের সুগন্ধা ও সন্ধ্যা নদীতে অসংখ্য ড্রেজার দিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া ১৪ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েও ইট না দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন নিপা খান নামে বরিশালের গড়িয়ার পাড় এলাকার এক মহিলা।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে কেদারপুর ইউনিয়নের স্টীমারঘাট বাজার থেকে বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওইদিন দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
তবে গ্রেফতারকৃত ইউপি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারী স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন।

উল্লেখ, গত ১৬ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলমের বাড়ি থেকে জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চালের ১৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার করে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা।

Share.
Exit mobile version