বরিশাল অফিস :- মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সংবাদকর্মীদের কাছে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নির্যাতিতা বৃদ্ধা মায়ের জন্য বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে গেছেন মানবদরদী জেলার আগৈলঝাড়া থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আফজাল হোসেন।

নির্যাতিতা বৃদ্ধাকে ওসি আফজাল হোসেন নিজের মা সম্বোর্ধন করে তার সু-চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নির্যাতনকারী পুত্র জগদিশ ব্যাপারি ওরফে জগদিশ সরকার পালিয়ে গেলেও অপর নির্যাতনকারী পুত্রবধূ শিখা রানীকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মেয়ের ঘরের নাতী চন্দন সরকার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর আটককৃত শিখা রানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি আফজাল হোসেন বলেন, আমি যতোদিন আগৈলঝাড়া থানায় দায়িত্ব পালন করবো, ততোদিন ওই বৃদ্ধা মায়ের ভরন পোষনের ব্যয়ভার বহন করবো। আমার পরে যারা এখানে ওসি হিসেবে আসবেন তাদের কাছেও ওই বৃদ্ধা মায়ের দায়িত্ব নেয়ার জন্য অনুরোধ করবো।

সূত্রমতে, ছেলে জগদীশ ব্যাপারী ও পুত্রবধূ শিখা রানীর কাছে দু’মুঠো খাবার চেয়ে না পেয়ে নিজের নামের বয়স্ক ভাতার টাকা চাওয়ায় নির্মমভাবে নির্যাতন করে গুরুত্বর জখম করা হয় আগৈলঝাড়ার উপজেলার বারপাইকা গ্রামের মৃত সূর্যকান্ত ব্যাপারীর বৃদ্ধা স্ত্রী গেনোদা ব্যাপারীকে (৯৫)। এরপূর্বে ওই বৃদ্ধার শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু থাকার আশঙ্কায় প্রায় দুইমাস বসত ঘরে না রেখে বাহিরের একটি মন্দিরের সামনে রাখা হয়েছিলো।

নির্যাতনের সময় বৃদ্ধার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে জগদিশ ও তার স্ত্রী শিখা রানী তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে।

Share.
Exit mobile version