শাহজাহান সরকার, ভ্রাম্যমাণ জেলা প্রতিনিধি, পাবনা :- পাবনার ঈশ্বরদী থানার  মুলাডুলি ইউনিয়নে গত শনিবার মধ্যরাতে চাঁদপুর গ্রামের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মৃত শহিদুল ইসলাম বাবলু’র ছেলে মোঃ জানিক হোসেন বাবু (৩০) এর স্ত্রীর (মিতু) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সে ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কর্মজীবী ছিলেন।
পরবর্তীতে রবিবার (১৪ জুন) ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জামিলুর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী থানায় নিয়ে আসে পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
খুনের সন্দেহ ভাজন হিসাবে নিহতের স্বামী জানিক,শ্বাশুরি,ভাশুরের স্ত্রী কে থানায় নিয়ে ব্যাপক জ্ঞাসাবাদে নিহতের স্বামী শিকার করেন যে সে একাই তার স্ত্রী কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, নিহতের স্বামী মোঃ জানিক হোসেন বাবু একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। সে নেশার টাকার জন্য প্রায় প্রতিদিনই তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় নিহত মিতুর রোজগারের পথ প্রায় বন্ধ ছিল। ঘটনার রাতে নেশার টাকা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরিবারের সদস্যদের জানায় হার্ট অ্যাটাকের কারণে তার স্ত্রী মারা গেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানায় নিহতের স্বজনেরা ০১ জনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতের স্বামী মোঃ জানিক হোসেন বাবু, মিতু হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে । তাই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু, আসামি স্বীকার করেছে সে একাই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাই বাকি সন্দেহভাজন দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Share.
Exit mobile version