নারীর প্রতিবাদ
মোঃ শহিদুল ইসলাম
আমি বন্ধরুপে রক্ষিত, আমি অত্যাচারি, আমি লাঞ্ছিত
আমি ছুঁড়ে ফেলি ঐ বেদার্থবোধক গ্রন্থ
যেখানে নারী নিনু
আমি নিতল ভেদিয়া আলো  জ্বালাবো
ঐ গৌরঙ্গের লিলায়
সম্পূর্ণরূপে ডুবিয়া গিয়াছে আজ নারী অন্ধকার ভেলায়
আমি জাগ্রত করি দুঃসাহসী নারীকে গবেষণায় মগ্ন
আমি ঐ নারীর উপর যুদ্ধ সম্ভার বর্জন করি
আমি দুর্জয়, আমি সাহসী, আমি বর্জ্যপাত, আমি নারী
আমি পৃথিবী নিরস্ত্র  করে দেবো
ঘুচে যাবে কুৎসরা জঞ্জাল
আমি মানি না ঐ ধর্মনীতি, নীতিশাস্ত্র, রাজনীতি,  যেখানে নীলবর্ণ প্রস্ততে আটকা নারী
আমি ছুটে চলি আলোর গতিতে ভোগবতী পাতালে, যেখানে সর্বনাশকারী ধর্ষিত জানোয়ারেরা বাস করে অন্ধ কুটিরে
আমি যুদ্ধ ঘোষনা করি ওদের উপর
আমি দুর্জয়, আমি সাহসী, আমি বর্জ্যপাত
হয়ে বিনাশ করবো ওদের
আমি বাহবা জানাই ঐ নারীকে নিরস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে মুখোশ খুলে দিয়ে শহীদ হয়েছে
আমি ঐ ধর্মহীন আলেমকে পুড়িয়ে মারবো
সাইক্লোন এর গতিতে কয়লা গুলি পৃথিবী ফারিয়া বাহিরে ছুড়ে মারবো
থাকবেনা আর বাতাসে বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধ
পৃথিবী হবে ধর্ষিতা মুক্ত
আমি হব শান্ত
আমি নারী।
কোথায় মানবতা
মোঃ শহিদুল ইসলাম
মাকে একটি ম্যাচের কাঠি দাও ;
আমি মহাজ্ঞানী মহাজন পৃথিবীর দুয়ার রুদ্ধ করে পোড়াবো!
আজ যাদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা
অথচ, দার্শনিক, কবি, মহাজ্ঞানী, রাজা হয়ে
দারিদ্র্যকে চুষে চুষে খাচ্ছে!
আজ যাদের পৃথিবীতে আলো জ্বালাবার কথা ;
আজ তারা সংসার সমরাঙ্গন মাঝে আনন্দ উল্লাসে মগ্ন,
আমাকে একটি ম্যাচের কাঠি দাও ;
আমি তাদের পোড়াবো
যারা এই পৃথিবীতে কঠিন হয়ে উঠছে!
আজ যারা পানির তৃষ্ণায় ছুটছে
অথচ আজ মহাজন’ নদীর পানি শুকিয়ে ফেলছে!
আজ যাদের কর্মযজ্ঞে এই পৃথিবী সুন্দর
অথচ অত্যাচার নির্যাতনকরে রক্তচোষার মতো মহাজ্ঞানী রক্ত চুষে খাচ্ছে!
ঠিক আমি তাদের পোড়াবো
আমাকে একটি ম্যাচের কাঠি দাও।
Share.
Exit mobile version