বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ– বাবুগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রহমতপুর কামিনী পেট্রলপাম্প সংলগ্ন ১১ ঘর নামক সেলিম সরদার এর বাড়ি থেকে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী সহ এ তিন জন মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীকে স্থানীয় জনগণ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (১৭ জুন ) সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় তপন শিকদার বাড়িতে যাবার সময় হঠাৎ এক মহিলাকে দরজা দিয়ে উকি দিতে দেখে তপন ভুক্তভুগিদের বলে উনি কে? তুক্তভুগিরা বলে আমার বান্ধবী ভাই তখন ঘরের ভিতর থেকে এক মহিলা এক রুম থেকে অরেক রুমে দৌড় ঝাপ শুরু করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীরা হাতে পায়ে ধরাধরি করে তপন শিকদারকে বলে আমাদের মাফ করে দেন। কিন্তু কোন ভাবেই রাজি নন তপন একপর্যায়ে তপন কে আঘাত করে পালিয়ে যায় ভুক্তভোগীরা।

খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার এসআই ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন । এবং মাদক ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন মাদক ও দেহ বিক্রেতারা তার কাছে অস্বীকার করেন।

ভিকটিমরা হলেন মোঃ হাসান(৩২) পিতা তাহের আলী, মোঃসোহেল (৩৫) পিতা লাল মিয়া, মোসাঃ সানজিদা আক্তার নিপা (২৬) স্বামী ওবায়দুর রহমান। তবে হাসান উত্তর রহমতপুর এয়ারপোর্ট থানার মোড় হাওলাদার ট্রেডাস নামমাত্র সেখানে রড-সিমেন্টের আড়ালে বিক্রি করে মাদক দ্রব্য। তাতেও থেমে নাই হাসান একই সাথে বিভিন্ন মহিলাদের সাথে দেহ ব্যবসাও চালিয়ে যায়। তার পরে আসলো সোহেল পশ্চিম রহমতপুর কামিনি পাম্প এর পশ্চিম পাশে বাড়ি। তবে সোহেল লেংটা জাহাঙ্গীরের শীর্ষ। লেংটা জাহাঙ্গীরের অনুপস্থিতিতে তার মাদক ব্যবসা জমজমাট চালিয়ে যাতে সক্ষম হয়। এবং সোহেল তা দ্বিতীয় স্ত্রী দিয়ে মাদক দ্রব্য বিক্রি চালিয়ে যায়। খানপুর ব্রাক অফিসের পিছনে সোহেল ভাড়া থাকা অবস্থায় গত এক মাস আগে পুলিশের হাতে ২০০পি ইয়াবাসহ তার স্ত্রী আটক হয়।
নিপার নিজ বাড়ি বরিশাল হাতেম আলী কলেজ (১৫) ওয়ার্ড নিপা মাদক ব্যসায়ের সাথে দেহ ব্যবসা ও চালিয়ে যায।

এয়ারপোর্ট থানার এস আই ইলিয়াস বলেন এই মহিলাকে মুচলেকা দিয়ে তার স্বামী ও ভাই দের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Exit mobile version