সুখ

—মু:সাহাবুদ্দিন মৃধা

সুখ হচ্ছে অদৃশ্য অনুভূতি, আপেক্ষিক
সুখের লাগি ছুটছে সবাই অবিরাম দিগ্বিদিক।
প্রতিটা পদক্ষেপ চলে সুখের অন্বেষণে
কেউ পায় কেউ নাগাল পায় না এজীবনে।
অনেক ক্ষেত্রে সুখ হয়ে যায় সাংঘর্ষিক
কেউ দুধ’এ কেউ মদ’এ শান্তি মিলায় ঠিক।
সুখের রয়েছে দেখ বিবিধ ধরন
যে কোন মূল্যে হোক চাহিদা পূরণ।
ক্ষুধার্ত সুখী হয় এক মুঠো ভাতে
শিশুর মুখে হাসি ফুটে চড়ে দোলনাতে।
প্রেমিক সুখী হয় মুক্ত হাওয়াতে
বেকারত্বে হাসি ফুটে চাকরি পাওয়াতে।
দাম্পত্য জীবন সুখী সন্তান পেলে
বৃদ্ধরা সুখ পায় নাতি কোলে তুলে।
সুখের স্বপ্নে মানুষ বাঁচে প্রতিক্ষণে
যতই সংকট থাক সুখ পোষে মনে।
সবাই আগায় নিয়ে সুখের বাসনা
দখলের সুখে হয় অন‍্যের যাতনা।
সুখ পেতে দেশে দেশে করে হানাহানি
কখনো কখনো সুখে চোখে আসে পানি।
মানুষের জন‍্য মানুষ করলে ভাবনা
পৃথিবীটা হয়ে যেত সুখের ঠিকানা।

শোকবার্তা
—মু:সাহাবুদ্দিন মৃধা

তোমার আমার শোকবার্তা
আসবে কখন কেউ জানেনা।
স্বপ্ন নিয়ে ঘুরছে মানুষ
নিয়ম-নীতি কেউ মানেনা।

ইন্তেকালের খবর শুনে
শোকবার্তায় লিখে আমিন।
জীবদ্দশায় নেয় না খবর
কেউ হয় না কারো জামিন।

সম্পদের লোভ কমে না
জোর করে নেয় নিজের পাতে।
জীবন থেকে হয় না শিক্ষা
কবর’এ যায় খালি হাতে।

দেনা-পাওনা না চুকিয়ে
যোগ-বিয়োগ না মিলিয়ে –
কোন ভাবনায় বসে আছ
হাজারও অভিশাপ নিয়ে ?

সময় থাকতে হিসেব মিলাও
যেতে হবে সঙ্গী ছাড়া।
কেউ রাখবে না তোমায় মনে
শোকবার্তা দিয়ে কম্ম সারা!

মোনাজাত
— মু:সাহাবুদ্দিন মৃধা —

হে মহান,
মুসলিমগণ ডাকে তোমায় আল্লাহ্ মেহেরবান,
খ্রিষ্টান ডাকে ঈশ্বর-
হিন্দুরা তোমায় ডাকে ভগবান।
সবাই তোমার বান্দা প্রভু
তোমার কাছে তো সব মানুষই সমান।
তুমি আকাশ-বাতাস-জল-রবি-শশী
দিয়েছ সবার তরে।
বান্দারা তব গায় গুনগান
ভিন্ন ভিন্ন সুরে।
সেই বান্দার জীবন এখন
করোনায় নেয় কেরে!
শতবর্ষে অগণিত অপরাধ
করেছি মোরা প্রভু।
এবারের মত ক্ষমা করে দাও
আর হবেনা কভু।
সারা দূনিয়ার রাজা-মহারাজার-
দর্পচূর্ণ হয়েছে আজ।
সব মহারথির কপালে দেখি
পরেছে করুণ ভাজ।
মাফ করে দাও হে বিধাতা
তুলেছি দুই হাত।
মালিক তুমি রাহমানের রাহিম
কবুল করো মোনাজাত।

Share.
Exit mobile version