শাহজাহান সরকার, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, পাবনা:- পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে রাজাপুরে তিন ব্যবসায়ী ১২০ বিঘা জমির ওপর ‘ক্যালিকো কটন মিল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ক্যালিকো কটন মিল নিবন্ধিত হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। ১২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাটিতে উৎপাদন শুরু হয়েছিল পরের বছর ১৯৬৮ সালের ১১ নভেম্বর থেকে।
এখানে ৪৮০ জন নিয়মিত শ্রমিকসহ প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন। কারখানা ভবন ছাড়াও ছিল তুলা ও সুতা রাখার গুদাম, প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের পৃথক আবাসিক ভবন, মসজিদ ইত্যাদি।
প্রতিষ্ঠার পর লাভজনক থাকা অবস্থায় ১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৮৩ সালে সরকার মিলটির ৪৯ শতাংশ শেয়ার রেখে ৫১ শতাংশ মালিক পক্ষকে দিয়ে দেয়। পরে মালিক পক্ষ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লে মিলে স্থবিরতা নেমে আসে। একপর্যায়ে শ্রমিকদের বেতনভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে মিলের কার্যক্রমে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
১৯৯২ সালের প্রথম দিকে মিলটি সচল করতে শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষ অগ্রণী ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়। সে সময় বিটিএমসির আড়াই কোটি টাকা ঋণসহ মিলটি বেসরকারি উদ্যোক্তা মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মিলটি সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে ওই বছরই ৮ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংক পাবনা শাখা পাঁচ কোটি ১২ লাখ টাকা অনুমোদিত ঋণসীমার প্রারম্ভিক তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঋণ দেয়। এরপর মালিকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব এবং শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে ১৯৯৩ সালে মালিক পক্ষ মিলটি বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের বেতনের ২৫ লাখ টাকা এবং প্রভিডেন্ড ফান্ডের ৫০ লাখ টাকা নিয়ে পাবনা ত্যাগ করে। এরপর মিলটি আর চালু হয়নি।