আল ফয়সাল বিকাশ, বান্দরবান:- বান্দরবানের বাঘমারা বাজারপাড়া এলাকায় জেএসএস ( সন্তু লারমা)  গ্রুপের অস্ত্রধারীদের ব্রাশ ফায়ারে এমএন লারমার সংস্কারপন্থী গ্রুপের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং জেলা সভাপতিসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে এক নারীসহ ৩ জন। আহতদের সদও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বান্দরবান সদও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আজ সকালে জেএসএস (এমএন লারমা সংস্কারপন্থী) জেলা সভাপতি রতন তংচংগ্যার বাসায় সকালের খাবারের রান্নার কাজ চলছিল। এই গ্রুপর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রজিত চাকমাসহ দলের অন্যন্যা নেতাকর্মীরা বাড়ীর বাইরে অবস্থান করছিল। সকাল পৌণে ৭ টা থেকে ৭টার মধ্যে অস্ত্রধারী ২ জন সন্ত্রাসী এলাপাতাড়ি ব্রাশ ফায়ার ও গুলি বর্ষন করে পালিয়ে যায়। এই মিশনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর সংখ্যা ছিল ৫ জন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি প্রজিত চাকমা (৬৫) বান্দরবান জেলা সভাপতি রতন তংচংগ্যা (৬০)সহ ৬ জন নিহত হয় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় এক নারীসহ ৩ জন। আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিহত অন্যরা হলেন, ডেভিড মারমা (৫০), জয় ত্রিপুরা (৪০), দিপেন ত্রিপুরা (৪২), মিলন চাকমা (৬০)। আহতরা হলেন, নিরু চাকমা (৫২), বিদ্যুৎ ত্রিপুরা (৩৬)।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, নিহতরা এমএন লারমা সংস্কারপন্থী গ্রæপের নেতাকর্মী। তারা সাংগঠনিক কাজে বান্দরবান জেলা সভাপতি রতন তংচংগ্যার বাড়ীতে অবস্থান করছিল। জেএসএস সন্তুু লারমার গ্রæপের সশস্ত্র ক্যাডাররাই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।

এদিকে বান্দরবানের হেব্রন পাড়া থেকে ৪ দিন আগে অপহৃত রুয়ালথান বম এবং ১ নং রাবার বাগান এলাকা থেকে নিখোজ গুংগামনি ত্রিপুরার কোন খোজ পাওয়া যায়নি। হত্যা ও অপহরনের ঘটনায় এলাকায় নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে। এলাকায় সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।

Share.
Exit mobile version