নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ঘুষ লেনদেনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর ২৪ ঘন্টায় তা প্রাায় দশ হাজার ভিউ, শাতাধীক শেয়ার সহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবী জানিয়ে অসংখ্য কমেন্ট হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ওনলাইন নিউজ পোর্টাল তাদের সাইটে ও পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।
জানা যায় ,Ashraful Noyon নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১১ জুলাই ভিডিওটি আপলোড করা হয়। এবং সেখানে তিনি লিখেন,নওগাঁর বদলগাছী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের রমরমা ঘুষ বানিজ্য দৃশ্যপট-০১।
উপজেলার স্কুলগুলোর বিভিন্ন কাজের জন্য ৫০-৭০ হাজার টাকা যে ¯িøপের বরাদ্দ এসেছে সেই টাকার জন্য প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিকট হতে এভাবেই নেওয়া হচ্ছে ঘুষ। আর টাকা দিতে পেরে শিক্ষকরাও খুশি। কারন বাকি টাকা নয়-ছয় করতে আর কোন বাধা থাকল না। এছাড়া করোনায় সারাদেশ স্থবির হলেও এখানে ডিজিটাল হাজিরার নামে ডিজিটাল লুটপাট, মেইনর মেরামতের নামে সাত-পাঁচ কোনটায় বন্ধ নেই। সবই চলছে এখানে রমরমা ভাবে —-
আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায় শিক্ষা অফিসের একটি কক্ষের জানালার বাহিরে দাড়িয়ে এক শিক্ষক ঘরের ভেতর অবস্থানরত অফিস সহকারী নাজিম উদ্দিনকে টাকা দিচ্ছেন এবং সেই টাকা নেওয়ার পর কোন স্কুল জিঙ্গাসা করে তা একটি কাগজে লিখে রেখে অন্য এক কর্মচারীকে টাকা গুনে দেওয়ার জন্য বলেন। এরপর সে আর একজনের নিকট হতে টাকা নিয়ে গুনতে থাকে।
এই ভিডিওটি আপলোড হওয়ার পর তাৎক্ষনিক তা বিভিন্ন জন শেয়ার ও ঘুষ লেনদেনে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবী তুলে কমেন্ট করতে থাকেন। প্রকাশের ২৪ ঘন্টায় মধ্যে ভিডিওটি প্রায় দশ হাজার ভিউ হয় এবং বেশ কয়েকটি ওনলাইন নিউজ পোর্টাল তাদের সাইটে ও পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেন।
আপলোড করা ভিডিওতে সেরেকুল ইসলাম নামে একজন কমেন্ট করে বলেন, শিক্ষা অফিসে যদি এই দুর্নীতি হয় তাহলে মাস্টাররা এটা শিক্ষা নিবে। আর এটা গিয়ে প্রভাব অভিজ্ঞতা দেখাবে ছাত্র ছাত্রীদের উপর।
এম.এ সালাম নামে একজন কমেন্টে বলেন,শিক্ষা অফিসে দূর্নীতি কেন?
জুয়েল রানা নামে একজন কমেন্টে বলেন, এর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
ভিডিওতে টাকা গ্রহনকারী অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো.নাজিম উদ্দিন মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়ে ¯িøপের বরাদ্দ আসছে। বরাদ্দের ভিতিত্বে ৯ শতাংশ ভ্যাট ও ২শতাংশ আইটির টাকা শিক্ষকদের কাছ থেকে জমা নেয়া হচ্ছে। এরপর ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। যদি ঘুষের টাকা নিতাম তাহলে সরকারি কোষাগারে জমা দিলাম কিভাবে। আর ঘুষ তো এভাবে প্রকাশে নেয়া যায় না।
বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: ফজলুর রহমান বলেন, ঘুষের কোন টাকা নেয়া হয়নি। ¯িøপের বরাদ্দের ভিত্তিতে ভ্যাট ও আইটির টাকা প্রকাশে নেয়া হয়েছে। ফেসবুকে যে ভিডিও ছাড়া হয়েছে সেখানে ঘুষের টাকার কথা বলা হয়েছে যা সম্পূর্ন মিথ্যা।
নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইউসুফ রেজা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।