বরিশাল অফিস :- পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী ও ভ‚মিদস্যুতার অভিযোগ এনে জেলা সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চরআবদানি গ্রামের হাশেম গোলদারের পুত্র মন্টু গোলদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বুধবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চরআবদানি গ্রামের মৃতঃ আবদুর রশিদ খানের পুত্র সোহেল খান।

লিখিত বক্তব্যে সোহেল বলেন, মন্টু গোলদার নিজেকে বরিশাল কাউনিয়া থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ভ‚মি দস্যুতার মত কাজ করে আসছে। সে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ তার প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকী প্রদান করে। এছাড়াও সে মাদকের ডিলার হওয়ায় অনেক সময় তার কথা না শুনলে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকী প্রদান করে। সম্প্রতি মন্টু গোলদারের বিরোধিতা করায় কাউনিয়া থানায় এলাকার ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মারামারি মামলা দায়ের করে। মামলায় সে যে বিবরন দিয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। মন্টু গোলদারের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সেজন্যই সে (মন্টু গোলদার) মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে সোহেল আরও বলেন, মন্টু গোলদারের অপকর্মের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী অতিষ্ট। সে গ্রামে মাদকের হাট বসায়। এমনকি মাদকের একটি বাহীনি তৈরি করে এলাকায় মাদকের বিস্তার গড়ে তুলেছে। রাতারাতি সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়েছে। তার মাদক ব্যবসা জমজমাট করতে নানা পন্থা অবলম্বন করছে। তবে এতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়েনি। যার ফলে সে অবাধে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মন্টু গোলদারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে বা মামলা করতে গেলে নারীদের দিয়ে হয়রানী করে। তাই মন্টু গোলদারকে আইনের আওতায় এনে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

Share.
Exit mobile version