শাহজাহান সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ– যশোরের মণিরামপুরে সাবেক চরমপন্থী নেতা রফিকুল ইসলাম রফি (৫০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫ চরমপন্থী সদস্য আটকের মধ্যদিয়ে হত্যাকান্ডের ক্লু-উদঘাটন হয়েছে বলে পুলিশের দাবী।
অভিযানের সময় একটি দোনালা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও খুনিদের ব্যবহৃত ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার এক ব্রিফিংএ এ তথ্য নিশ্চিত করেন যশোর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
ব্রিফিংএ দাবী করা হয়, গত শুক্রবার যশোর ডিবি, অভয়নগর ও মণিরামপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে মণিরামপুর ও অভয়নগর এলাকা থেকে সাবেক চরমপন্থী নেতা রফিকুল ইসলাম রফি হত্যাকান্ডে জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হেলাল ভূঁইয়া (২০), মো. সেলিম (২২), হাসান আলী, (৩৫), সমীরণ পাঁড়ে (৫৪) ও তাপস মোড়ল (৩৮)। তারা নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য এবং তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নিহত রফিকুল ইসলাম রফি এক সময় একই চরমপন্থী দলের সদস্য ছিল। কৌশলে তাকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, সাবেক চরমপন্থী নেতা রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতারকৃত ৫ জনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে হাজির করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার মধুপুর এলাকার মৃত আসমত বিশ্বাসের পুত্র রফিকুল ইসলাম রফি (৫০) কে গত ৯ জুলাই দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার আলোচিত ক্রাইম পয়েন্ট কুচলিয়া-দিগঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মণিরামপুর-নওয়াপাড়া সড়কে গুলি করে ও গলাকেটে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। প্রকাশ্য দিবালোকে সাবেক চরমপন্থী নেতা হত্যাকান্ডের পর এলাকায় অজানা আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনের দর প্রান্তে।