রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ * করোনা দুর্যোগে কীভাবে দিন কাটছে আপনার?
** অনেকের মতো আমিও ঘরবন্দি হয়ে আছি। সংসারের কাজ সামলাতেই দিন চলে যায়। আমার দুই সন্তানকে পড়ালেখা করাতে হয়। তাদের সঙ্গ দিতে হয়। সব মিলিয়ে ঘরেও আমি বেশ ব্যস্তই থাকি।
* এখন তো নাট্যাঙ্গন অনেকটাই কর্মমুখর। আপনি কি কাজ করছেন?
** আমি স্বাভাবিক সময়েই কম কাজ করি। ভালোলাগার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করি। যেহেতু করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও চলমান। তাই এ পরিস্থিতিতে কাজ করার কোনো চিন্তাও করছি না। এর মধ্যেও সম্প্রতি দুটি ঈদের নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। কাজ দুটি ভালো হলেও করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সেই প্রস্তাব দুটি ফিরিয়ে দিয়েছি।
* গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে আপনার অভিনীত একটি নতুন নাটক ঈদে প্রচার হবে। এটি কি তাহলে সত্যি নয়?
** এটি সত্যি। তবে এ নাটকের শুটিং শেষ করেছি গত ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন কোনো দুর্যোগ ছিল না। নাটকের নাম ‘কেন’। এটি নির্মাণ করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। শুনেছি নাটকটি আগামী ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে। যদিও এখন মানুষের মনে আনন্দের চেয়ে জীবন শঙ্কাই বেশি। তারপরও যেহেতু ঈদে প্রচার হবে, তাই দর্শক সংখ্যাও বেশি থাকবে।

* মাঝে মধ্যে আপনার কণ্ঠের গানও প্রকাশ হয়। নতুন কোনো গানের কাজ করছেন?
** আপাতত এ নিয়ে কোনো কাজ করছি না। কারণ গান করতে গেলে অবশ্যই স্টুডিওতে যেতে হবে। তাই গানের কাজও করছি না। তবে সময়-সুযোগ পেলে এ কাজটি করছি মাঝে মধ্যেই। সর্বশেষ ‘আমার অভিমান’ নামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। সেটি প্রকাশ হওয়ার পর শ্রোতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি।
* এক সময় নাটক পরিচালনা করতেন। এ কাজটি কেন করছেন না?
** প্রথমত যখন নাটক পরিচালনা করতাম তখন আমার সংসারে কম সময় দেয়া লাগত। তখন আমি একটি টিভি চ্যানেলে চাকরিও করতাম। এর ফাঁকে ফাঁকে নাটক বানাতাম। এখন পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে চাকরিও করছি না, নাটকও নির্মাণ করছি না। তবে যেহেতু কাজটি করার অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাই আবারও পরিচালনায় দেখা যেতে পারে ভবিষ্যতে ।

Share.
Exit mobile version