বরিশাল অফিস :- শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীর জন্য ক্রয় করা কফিন থেকে কাগজে মোড়ানো ২১ পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কফিন থেকে গাঁজা উদ্ধারকারী কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মিজান জানান, গত শনিবার রাতে ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে ও এক সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে কফিনের মধ্যে থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তবে গাঁজার মালিককে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে কফিনের ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ওই রাতে উপস্থিত লোকজেনর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত করা হচ্ছে।
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুলাতলা গ্রামের সোহাগ হোসেন জানান, গত শুক্রবার তার পিতা কাঠমিস্ত্রী আব্দুল হালিম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে গুরুত্বর অবস্থায় তাকে শেবাচিমে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর আব্দুল হালিমের শরীরে জ¦র দেখা দিলে তাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে আব্দুল হালিম মৃত্যুবরণ করেন। তিনি (সোহাগ) আরও জানান, যেহেতু তিনি (আব্দুল হালিম) করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন সেজন্য তাকে কফিনে করে নিতে হবে বলে জানান করোনা ওয়ার্ডে থাকা লোকেরা।
তখন ওই ওয়ার্ডে কর্মরত আবুল খায়ের নামের একজনকে আড়াই হাজার টাকা দিলে রাত তিনটার দিকে কফিন এনে দেন। এরপর স্বজনদের নিয়ে পিতার লাশ কফিনে রাখতে গিয়ে কাগজে মোড়ানে একটি পোটলা দেখি। পরবর্তীতে পোটলা খুলে গাঁজা দেখতে পেয়ে পরিচিত এক সাংবাদিক ও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশ এসে গাঁজাগুলো উদ্ধার করেন।
শেবাচিমের নাইট গার্ড আবুল খায়ের বলেন, আমি কফিন আনতে যাইনি। মূলত ওই ছেলের পিতা মারা যাওয়ার পর তারা আমার কাছে জানতে চায় কফিন কোথায় পাওয়া যাবে। এরপর আমি কফিনের বিষয়টি ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদের কাছে বললে তিনি কফিনের দোকানদার বাদশার কাছে মোবাইল করেন। পরে বাদশা কফিন পাঠিয়ে দেন। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
সোমবার বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির পুত্র ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কফিনের মধ্যে গাজা দেখতে পাওয়ার তথ্য জানান। পরে থানার এসআই মিজান ঘটনাস্থলে গিয়ে গাঁজা উদ্ধার করেন। তিনি আরও জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।