সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের জানিগাঁও এলাকায় খালে পড়ে যাওয়া বাসের ভেতর কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রথমে ২১ যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হলেও উদ্ধারকাজ শেষে একজনকেও পাওয়া যায়নি। ২১ জন নিখোঁজের বিষয়টি ছিল গুজব।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকালে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ যাওয়ার পথে ওই বাসটি খালে পড়ে যায়। ‘বাসটিতে ২৫-২৬ জন যাত্রী ছিলেন; এদের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন’ স্থানীয়দের দেয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে উদ্ধারকাজ শেষে কারও লাশ কিংবা নিখোঁজ একজনেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের জানিগাঁও এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায় একটি বাস। বাসটিতে ২৫-২৬ জন যাত্রী ছিলেন; এদের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন’ ফায়ার সার্ভিসকে এমন তথ্য জানায় স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দেয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সিলেট থেকে আসা ডুবুরি দল। চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাসের ভেতর ও খালে কোনো যাত্রীর হদিস পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল।

জেলা বাস মালিক সমিতি সূত্র জানায়, সিলেট থেকে সুনামগঞ্জে যাওয়ার পথে ওই বাসে চালক-হেলপারসহ ২০ জন যাত্রী ছিলেন। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে পাগলা ও দিরাই রোড এলাকায় ১২ জন যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের জানিগাঁও এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায় বাসটি। এ সময় চালক-হেলপার পালিয়ে যায়। বাকি ছয়জন যাত্রী আহত হন। তাদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, সিলেট থেকে সকালে বাসটি সুনামগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে কয়েকজন যাত্রীকে গন্তব্যে নামিয়ে দেয়া হয়। ছয়জন যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জে যাওয়ার পথে বাসটি খালে পড়ে যায়। এ সময় চালক-হেলপার পালিয়ে যায়। ছয় যাত্রী আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয়রা আমাদের ফোন করে জানায় একটি বাস খালে পড়ে গেছে। বাসটিতে ২৫-২৬ জন যাত্রী ছিলেন; এদের মধ্যে চারজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়দের দেয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সিলেট থেকে আসা ডুবুরি দল। চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বাসের ভেতর ও খালে কোনো যাত্রীর হদিস পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। ২১ জন নিখোঁজের বিষয়টি ছিল গুজব।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাস দুর্ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মধ্যে তিনজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালে পড়া বাসের ভেতর কারও লাশ কিংবা কাউকে পাওয়া যায়নি।

Share.
Exit mobile version