নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট অফিসের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ১৫ জন ট্রলিম্যান এবং ১২ জন গেট কিপার পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে এক থেকে দুই লাখ টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়াও রেলের কর্মচারীরা জি ৪৮ ভাউচারের যে টাকা জমা দিয়ে থাকেন তা গ্রহণ করা হলেও কয়েক বছর ধরে এই টাকা রেলের ফান্ডে জমা পড়েনি। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ইতিমধ্যে বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে জমা দিয়েছে ওই কমিটি।
বিভাগীয় প্রকৌশলী-১-এর পার্সোনাল স্টেনো এবং প্রধান সহকারীসহ একাধিক কর্মচারী নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে রেলের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের গোপন এস্টিমেট ও রেট কোড তাদের ‘নির্ধারিত’ ঠিকাদারদের কাছে ফাঁস করে দিয়ে অবৈধ উপায়ে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে বিল পাস করা, ইনক্রিমেন্ট করার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বেতন থেকে বিল কর্তন করে পরিশোধ করার ঘটনাও ঘটেছে,।
এ ব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-১-এর প্রধান সহকারী আব্দুস সামাদ সরকার জানান , তদন্ত কমিটি আমাকে দায়ী করলে আমি দায় স্বীকার করে নেব। তবে তিনি একা সব অনিয়মের জন্য দায়ী নন বলে জানান। স্টেনো মামুন উল করিম বলেন, অফিসের কেউ হয়তো আমার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এ সব অভিযোগ করেছেন। এ সব অভিযোগ সম্পর্কে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল বলেন, আমি পাকশীতে নতুন এসেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে দাফতরিক ও রেল আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।