দুজনকেই উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্কটাপন্ন রাজীবকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ডা. রাজীব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক। আর ডা. অনূসূয়া কাজ করেন শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তারা হাতিরপুল এলাকার ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের একটি বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকেন। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানান তাদের স্বজনরা।
এদিকে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয় তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। শরীরের ৮৭ ভাগই পুড়ে যাওয়ায় রাজীবের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার স্ত্রী অনুসূয়ার শরীরের ২০ ভাগ পুড়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর। কেউ বিপদমুক্ত নয়। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজীবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুদীপ দে জানান, বাসায় ব্যবহারের জন্য একটি বড় বোতলে স্যানিটাইজার রাখা ছিল। সেটি থেকে ছোট বোতলে খানিকটা জীবাণুনাশক ঢালছিলেন রাজীব। ওই সময় বোতল থেকে স্যানিটাইজার পড়ে যায়। তখন রাজীব ধূমপান করছিলেন। তার সিগারেট থেকে স্যানিটাইজারে আগুন ধরে যায়।