এলিসন সুঙ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগানের (ছোট নদী) পাহাড়ি ছড়ায় ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজের দুইদিন পর এক চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ধলই চা বাগানের দুই সন্তানের জনক চা শ্রমিক রামেশ্বর গড় (৪৫) গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সীমান্ত এলাকার নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকার ধলই নদের সাথে সংযুক্ত একটি পাহাড়ি ছড়ায় ঘাস কাটতে গিয়ে নিখুজ হয়েছিলেন। সে ধলই চা বাগানের মৃত মংড়ু গড়ের ছেলে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজে তাকে না পেয়ে বাগান পঞ্চায়েত ও কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

বৃহস্পতির দুপুরে খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান ও পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণসহ ধলই নদের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেও নিখোঁজ চা শ্রমিক রামেশ্বর গড়ের সন্ধান পাননি।

এদিন বিকালে বিষয়টি কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে ঘটনা জানালে শুক্রবার (২৪ জুলাই) সকালে ফায়ার সার্ভিসের টিম নিখোঁজ হওয়া স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তার সন্ধান না পেয়ে সিলেট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমকে খবর দেয়।

এদিকে কমলগঞ্জ পৌরসভাধীন বড়গাছ এলাকার রাসেল নামের এক যুবক কাঠ খুঁজতে গিয়ে ধলাই নদীর রেল সেতু থেকে চার শো গজ দূরে গাছ বল্লির মধ্যে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জানায়। দুপুরে স্থানীয়রা বিষয়টি সংবাদকর্মীদের জানালে, সংবাদকর্মীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে  কমলগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও ডুবুরি টিম মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

বিকাল সাড়ে ৩ টায় নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের লোকজন তার লাশ সনাক্ত করেন। পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিত ময়না তদন্ত ছাড়া মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড়ি ছড়া ও ধলই নদীতে প্রচুর পানির স্রোতে তার লাশ চৌদ্দ কিলোমিটার দূর নিয়ে এসেছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Share.
Exit mobile version