জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকালে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ঢাকা ১০ জন যুবককে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড চালু করবে যারা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য ও অবদান সম্পর্কে বিশ্বের যুবকদের আলোকিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ- যা ছিল মূলত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন- বিশ্বাস করে যে, সমৃদ্ধি কেবল কিছু সুউচ্চ বহুতল অট্টালিকার দ্বারা পরিমাপ করা যায় না এবং অবশ্যই করা উচিত নয়।’
এই ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য ৭৪টি দেশের ১২০০ জনের বেশি যুবক আবেদন করেছিল। আয়োজক কমিটি এদের মধ্য থেকে ২৫০ জনকে বাছাই করেছে। এদের মধ্যে ১০০ জন বাংলাদেশী ও ১৫০ জন ওআইসিভুক্ত দেশ ও অন্যান্য দেশের। এই বাছাইকালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লিঙ্গ সমতার ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে।
তারা মঙ্গলবার দ্বিতীয় অধিবেশনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতনের বিষয়ে বিচার ও জবাবদিহিতার মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে। ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর), ইন্টারশ্যানাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় অংশগ্রহনকারী যুবকরা ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে’ ভার্চুয়াল সফর করবে।
সম্মেলন শেষে স্বেচ্ছাসেবা ও মানবিকতার ভিত্তিতে যুবকদের জন্য আরো কর্মসূচির জন্য একটি দলিল গৃহীত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিগত ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া তীব্র প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্নধাপ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গৌরবজনক এই স্বীকৃতি অর্জন করে।