তবে চিন্তার বিষয় হলো ত্বকের ক্ষতি ছাড়াও অতিমাত্রায় হ্যান্ড স্যা
মার্কিন ডার্মাটোলজিস্ট ক্যারোলিন নেলসনের মতে, “অ্যালকোহলসমৃদ্ধ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অতিমাত্রায় ব্যবহারে চামড়ায় লালচে দাগ, শুষ্কতা, ফেটে যাওয়া এমনকি চুলকানি ও ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
একজিমা
ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহারে একজিমা হতে পারে। সেজন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি শুষ্কতার কবল থেকে বাঁচতে ত্বকে ময়েশ্চেরাইজার (যেমন- মিনারেল অয়েল, পেট্রোলিয়াম জেলি) ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের জ্বালাপোড়া
হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো মূলত এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। মার্কিন কসমেটিক কেমিস্ট ভানেস্সা থমাসের মতে, “হ্যান্ড স্যানিটাইজারের প্রাথমিক উপাদান হলো ইথাইল অথবা আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল। এর সঙ্গে সফেনার এবং সুগন্ধি মিশিয়ে বাজারজাত করা হয়। ঘন ঘন এর ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। এর মূল কারণ অ্যালকোহল।” তাই জীবাণু ধ্বংসের জন্য হালকা গরম পানি এবং সাবানই সর্বোত্তম উপায়।
প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব
বেশিরভাগ স্যানিটাইজারের মূল উপাদান অ্যালকো হলেও নন-অ্যালকোহলিক স্যানিটাইজারও পাওয়া যায় বাজারে। নন-অ্যালকোহলিক এসব পণ্যের প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয় ট্রাইক্লোসান অথবা ট্রাইক্লোসানের মতো অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান।
“একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন ক্ষমতা ও ভ্রুণ উৎপাদনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে ট্রাইক্লোসানের। পাশাপাশি এটি অ্যাজমার ঝুঁকিও বাড়ায়,” বলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লিনিক্যাল অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. ক্রিস নরিস।
শরীরকে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স’ করে তোলা
প্রফেসর ড. নরিস আরও বলেন, ট্রাইক্লোসানের সংস্পর্শে শরীর এমন সব ব্যাক্টেরিয়ার বসবাসের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, যা শরীরকে অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
তথ্য সংগ্রহঃশাহজাহান।