রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ মুসলমানদের জন্য কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’
কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সা. ইরশাদ করেন ‘আল্লাহ তায়ালার নিকট কোরবানির দিন মানবজাতির কোরবানি অপেক্ষা অধিকতর পছন্দনীয় কোনো আমল নেই। বিচার দিনে কোরবানির পশুকে তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত করা হবে। পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ তায়ালার নিকট তা বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়, সুতরাং তোমরা আনন্দচিত্তে কোরবানি করো।’ (সহিহ তিরমিযি: ১৩৯১)
বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে ‘কোন কোন পশু কোরবানি করা যাবে না’ তবে আসুন জেনে নিই-
১. যে পশুর কান বা দৃষ্টিশক্তি এক তৃতীয়াংশের কম নষ্ট বা কাটা পড়েছে, তা কোরবানি দেয়া জায়েজ। এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি হলে জায়েজ নয়।
২. যে পশুর লেজ অর্ধেকের বেশি আছে তা কোরবানি করতে কোনো অসুবিধা নেই। এর বিপরীত হলে জায়েজ নয়।
৩. যে পশুর শিং মোটেই ওঠেনি তা কোরবানি দেয়া জায়েজ। যদি শিং গোড়ায় ভেঙে যায় এবং এর ক্ষতি মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছে তবে তা দিয়ে কোরবানি আদায় হবে না।
৪. যে পশুর দাঁত মোটেই ওঠেনি বা অর্ধেক পড়ে গেছে তা কোরবানি দেয়া যাবে না।
৫. যে পশুর জন্মগতভাবে কান নেই তা কোরবানি দেয়া যাবে না।
৬. যে পশুর জিহবা এ পরিমাণ কাঁটা যে, ঘাস-পাতা খেতে পারে না, তা কোরবানি দেয়া যাবে না।
৭. যে পশু তিন পা দিয়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারে কিন্তু এটি দিয়ে চলতে পারে না, তা কোরবানি দেয়া যাবে না।
৮. যে পশুর স্তন কাঁটা বা জখম হওয়ার কারণে বাচ্চাকে দুধ পান করাতে পারে না তা দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়।
৯. জেনেশুনে চুরিকৃত পশু ক্রয় করা এবং তা কোরবানি করা জায়েজ নয়।
১০. ত্রুটিহীন পশু ক্রয় করার পর তাতে যদি এমন কোনও ত্রুটি জন্ম নেয়, যা কোরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক, তবে নেসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তির জন্য এ রূপ পশু দিয়ে কোরবানি বৈধ নয়, দরিদ্র ব্যক্তির জন্য বৈধ।
১১. গর্ভবতী পশু কোরবানি করা মাকরুহ।
Share.
Exit mobile version