♥ পানি: প্রচণ্ড গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি ও সোডিয়াম বের হয়ে যায়। এ কারণে পানিশূন্যতা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত ১২ গ্লাস করে পানি পান করা উচিত। পাশাপাশি স্যালাইন বা সামান্য লবণমিশ্রিত পানিও পান করা যেতে পারে।
♥ ডাবের পানি: ডাবের পানিতে প্রচুর মিনারেলস রয়েছে, যা শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করে।
♥ সবজি: ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, পটোল, লাউ, জালি কুমড়া, পেঁপে প্রভৃতি সবজিতে প্রচুর জলীয় অংশ থাকে। এগুলো সহজে হজমও হয়।
♥ মাছ: প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ কিংবা বীজ-জাতীয় খাবার খেতে পারেন। মাছ, ডাল বা বীজ-জাতীয় খাবার সহজে হজম হয়।
♥ ফল: শরীরে পানি ও খনিজের ভারসাম্য রক্ষা করতে রসালো ফল যেমন আম, তরমুজ, আনারস, বাঙ্গি, আপেল, কলা, মাল্টা, কমলা, আঙুর নিয়মিত খান।
♥ সালাদ: শরীর শীতল রাখতে শসা, টমেটো, ক্যাপসিকাম, লেটুস পাতা প্রভৃতির জুড়ি নেই। এসবে প্রচুর পানি থাকে।
♥ পালংশাক: পালংশাকে প্রচুর পানি এবং প্রচুর ভিটামিন, মিনারেলস ও আঁশ রয়েছে। দুপুরে পালংশাক খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
♥ দই: টক দই দিয়ে লাচ্ছি বা দইয়ের ঘোল তৈরি করে খেতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে। খাওয়ার পর দই খেতে পারেন।
♥ লেবুর শরবত: দিনে কয়েকবার লেবুর শরবত খেতে পারেন। লেবুর শরবতের সঙ্গে পুদিনা পাতা যোগ করতে পারেন। এতে শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ভিটামিন সি-এর চাহিদাও পূরণ হবে।
গরমে যেসব খাবার খাওয়া ঠিক নয়
◑ মসলাযুক্ত তৈলাক্ত খাবার, ফাস্টফুড, সফট ড্রিংকস এবং বরফশীতল পানীয় পান থেকে বিরত থাকুন। মাত্রাতিরিক্ত চা-কফি পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
লেখক, পুষ্টিবিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা কনসালটেশন সেন্টার, বাড্ডা
তথ্য সংগ্রহেঃ শাহজাহান সরকার।