রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ অনেক সময় নিজেকে পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকে অভিযোগ করে থাকেন , “ লেখাপড়ায় মন বসাতে পারছি না’’। কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধির কিছু উপায় আছে। এসব উপায়গুলো নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়া সম্ভব।
♥ ঘুম
ঠিকভাবে ঘুম না হলে সেটার প্রভাব আমাদের মনের উপর পড়ে। আর মন ভালো না থাকলে লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। প্রতিদিন নিয়ম করে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমালে শরীর ভালো থাকে, লেখাপড়ায় মনোযোগ দেয়া যায়।
♥ শেখার আনন্দে পড়ো
মানুষের মন অনিচ্ছায় কোন কাজ করতে চায় না। ঠিক যেই মুহূর্তে তোমার মনে হচ্ছে “ধুর! এখন বসে বসে এগুলি পড়তে হবে কালকে পরীক্ষার জন্য!” তখনই তোমার মন বিদ্রোহ করছে, একটা কণাও পড়তে ইচ্ছা করবে না। তাই পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ জাগিয়ে তুলো, দেখবে মনোযোগ আপনা থেকেই আসছে। পরীক্ষায় পাশ তো আপনাতেই হবে, পড়ালেখা যদি শেখার আনন্দে করো, এ জ্ঞান মনের মাঝে অক্ষয় থাকবে চিরদিন।
♥ ব্যায়াম বা শরীরচর্চা
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে শরীর ঝরঝরে থাকে। ব্যায়াম স্মরণশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি সহায়ক। নিয়মিত ব্যায়াম এর অভ্যেস করলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়া যায়।
বিরতি

গবেষণায় দেখা গেছে একজন মানুষের একটানা ৯০ মিনিট কাজে মনোযোগ থাকে। একটানা লেখাপড়া না করে কিছু সময় বিরতি নিয়ে আবার শুরু করুন। এতে লেখাপড়া করার উদ্যম পাবেন।

♥ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ
মনোযোগ এ ব্যাঘাত ঘটায় এমন জিনিস থেকে দূরে থাকুন। কোন কাজ করার আগে মোবাইল বা টিভি নিয়ে বসে পড়বেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। তাই এগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন।
♥ ব্রেইন গেম
মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন গঠনমূলক কাজে। এ ক্ষেত্রে ব্রেইন গেমগুলো খুবই কার্যকর যেমন আপনি – দাবা, সুডোকো , পাজল এসব গেম খেলতে পারেন। এতে ব্রেইন সচল থাকবে এবং লেখাপড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করা যাবে।
♥ ক্যাফেইন
কাজ করার ফাঁকে পান করে নিতে পারেন এক কাপ কফি বা চা। এতে নিজেকে ফ্রেশ লাগবে। কাজে মনোযোগ দিতে সহজ হবে।
নিজেকে পুরষ্কৃত করো!
পুরষ্কার পেতে কার না ভাল লাগে! হয়তো তোমার চকলেট খেতে দারুণ পছন্দ, কিন্তু বেশি খেলে দাঁতে পোকা ধরবে, মোটা হয়ে যাবে ইত্যাদি সমস্যা, এক কাজ করতে পারো তো, বইয়ের যেই পাতা পর্যন্ত পড়বে ঠিক করেছ শেষ পাতায় একটা চকলেট গুঁজে রাখলে! কত কষ্ট করে পড়েছ এতকিছু, দাঁতের পোকার ভয় উপেক্ষা করে নিজেকে এটুকু পুরষ্কার দেওয়াটা যথার্থই বটে!
Share.
Exit mobile version