রাঙ প্রভাত ডেস্ক:- কুড়িগ্রাম জেলায় চলতি চার দফা বন্যায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ সময় পানি বন্দী থাকার পর গত এক সপ্তাহ ধরে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। দুধকুমার নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। ভূরুঙ্গামারি উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইক ডাঙ্গা গ্রাম নদীগর্ভে প্রায় বিলীনের পথে। দুধকুমার নদীর ভাঙ্গনে পাইক ডাঙ্গা গ্রামের তিনটি মসজিদ কয়েক শত হেক্টর আবাদি জমি ও শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ভাঙ্গন হুমকির মুখে পড়েছে আব্দুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাইক ডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । পাইক ডাঙ্গা এলাকায় নদী ভাঙ্গনের শিকার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, আব্দুর রশিদ, আব্দুল হালিম দুধকুমার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলাম। তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছেন।
এদিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নে দুধকুমার নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন ও নুনখাওয়া বাজার, স্কুল ও মাদরাসা ভবন। নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। ১১ নং নুনখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুল হোসাইন সাবুল। তিনি সরকারি ভাবে ত্রাণ সহায়তা বিতরণের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার দাবি জানান।