বিশেষ প্রতিনিধিঃ অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে পাবনার আমিনপুর থানার বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিনকে। রবিবার ৯ আগস্ট সকালে পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ওসি মাইনুদ্দিনকে প্রত্যাহার করে পাবনা পুলিশ লাইনসে সংযুক্তির আদেশ জারি করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আখতার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আমিনপুর থানার ওসি মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বেড়া উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কলরেকর্ড ফাঁস করে বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যহতিপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল বাতেন ও পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবিরের হাতে তুলে দেয়া, ঘুষ নিয়ে ভিজিডি কার্ডের চাল চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত ঢালারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কোরবান আলীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া, চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া, কাজীরহাট ও নগরবাড়ী ঘাটে চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আকতার জানান, রবিবার সকালে ওসি মাইনুদ্দিনকে অব্যহতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, ওসি মাইনুদ্দিনকে পাবনা পুলিশ লাইনসে সংযুক্তির কথা নিশ্চিত করলেও অব্যহতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে রাজি হননি তিনি।

এর আগে, ওসি এস এম মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা চার ইউপি চেয়ারম্যানের তিন মাসের ফোনালাপের কললিস্ট অর্থের বিনিময়ে ফাঁসের অভিযোগ করেন পাবনার বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, মাসুমদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন,নতুন ভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ রফিকুল্লাহ এবং রূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জল।

এমন অভিযোগ তুলে গত ২ জুন তারা স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত আবেদন জানান।
অভিযোগ তদন্তে পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসকে (বর্তমানে বদলি হয়ে ময়মনসিংহ পিবিআই এর পুলিশ সুপার) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও করা হয়। তবে, পরবর্তীতে সে তদন্ত প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রকাশ করেনি জেলা পুলিশ।

ওসি মাইনুদ্দিন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কোরবান আলীকে খালাস দেয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশও করেন।

Share.
Exit mobile version