পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আকতার জানান, রবিবার সকালে ওসি মাইনুদ্দিনকে অব্যহতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, ওসি মাইনুদ্দিনকে পাবনা পুলিশ লাইনসে সংযুক্তির কথা নিশ্চিত করলেও অব্যহতির সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে, ওসি এস এম মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা চার ইউপি চেয়ারম্যানের তিন মাসের ফোনালাপের কললিস্ট অর্থের বিনিময়ে ফাঁসের অভিযোগ করেন পাবনার বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, মাসুমদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন,নতুন ভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ রফিকুল্লাহ এবং রূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জল।
এমন অভিযোগ তুলে গত ২ জুন তারা স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত আবেদন জানান।
অভিযোগ তদন্তে পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসকে (বর্তমানে বদলি হয়ে ময়মনসিংহ পিবিআই এর পুলিশ সুপার) প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও করা হয়। তবে, পরবর্তীতে সে তদন্ত প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রকাশ করেনি জেলা পুলিশ।
ওসি মাইনুদ্দিন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কোরবান আলীকে খালাস দেয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশও করেন।