বরগুনার আমতলীতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের অধীনে দূর্যোগ সহনীয় ৪০টি গৃহহীন পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পাকাঘর।
জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন (টি.আর) ও গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্ধে ২০১৯–২০ অর্থবছরে আমতলী উপজেলায় মোট ৪০টি হতদরিদ্র অস্বচ্ছল, গৃহহীন, ভিক্ষুক, দিনমজুর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দূর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
‘গৃহহীনদের গৃহদান‘ কর্মসূচির অগ্রাধিকার প্রদান, দূর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর‘ অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় যে সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামান্য জমি বা ভিটা আছে কিন্তু টেকসই ঘর নেই তাদের জন্য ৮০০ বর্গফুটের জায়গায় রান্নাঘর, টয়লেটসহ একটি সেমিপাঁকা টিনশেডের দুই কক্ষ বিশিষ্ট নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয় ১ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার যে সকল ব্যক্তিদের এক থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই বা থাকলেও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন ৪০ জন ব্যক্তিরাই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ইউপি সদস্যদেরকে সদস্য করে বাড়িগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের দিনমজুর মো. হেলাল গাজী বলেন, মুই ঘড়ের অভাবে রাইতে ঘুমাইতে পারতাম না। শেখের বেটি হাসিনা মোরে এই ঘর দেছে। হ্যারে যেন আল্লায় ভাল রাহে। মুই নামাজ পইর্যা হগোল সময় হ্যার লইগ্যা দোয়া হরি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উপজেলায় বাছাই শেষে ৪০টি হতদরিদ্র, ভিক্ষুক, দিনমজুর ও গৃহহীন পরিবারকে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলার সকল হরিদ্র ও হতদরিদ্র দিনমজুর ভিক্ষুক পরিবারগুলোকে পর্যায়ক্রমে দূর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, নাচনাপাড়া গ্রামের একজন ভিক্ষুক রানী বেগমকে একটি গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে এখন তার আয় রোজগারের জন্য একটি ছোট দোকান দিয়ে দেওয়া হবে যাতে তার আর ভিক্ষা করতে না হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানান, চলিত বছরে এ উপজেলায় ৪০টি দূর্যোগ সহনীয় পাঁকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে গৃহহীনদের। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। এতে রয়েছে রান্নাঘর, টয়লেটসহ সেমিপাঁকা টিনশেডের দুইটি কক্ষ।